জামালপুর: জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী কামালপুর ইউনিয়নের ৬ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ নির্ঘুম রাতযাপন করেছেন। বন্য হাতির আক্রমণ ঠেকাতে বুধবার (১৬ নভেম্বর) রাতভর তারা পাহারা দিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, ভারতীয় বন্য হাতির দল সীমান্ত পেরিয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করে। হাতির দল ভারতের টুঙ্গুরচর দিয়ে বাংলাদেশের সোমনাথপাড়া, গাঢ়োপাড়া, টিলাপাড়া, যদুরচর, সাতানীপাড়া, মীর্ধাপাড়ায় প্রবেশ করে।
সীমান্তবর্তী এলাকায় কৃষকরা ধান কেটে ফেলায় হাতির দল খাবারের জন্য বাংলাদেশের প্রায় ৪ কিলোমিটার অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ছে। বুধবার হাতির তাণ্ডবে মীর্ধাপাড়া এলাকার প্রায় ২০ হেক্টর জমির ধান নষ্ট হয়েছে।
রাতে হাতির আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে ৬ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ হাতে মশাল, পাট খড়িতে আগুন, বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে বন্য হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করেন। তারপরও কিছুতেই হাতির আক্রমণ থেকে রক্ষা পাচ্ছে না জমির ফসল।
এদিকে হাতির কবল থেকে রক্ষা পেতে যদুরচর গ্রামের মানুষ অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।
হাতি তাড়ানোর বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হাতি রেসপন্স টিমটি সীমন্তবর্তী হাতি তাড়ানোর কাজে নিয়োজিত রয়েছে। কিন্তু হাতি তাড়ানোর কাজে তাদের পদ্ধতি কাজে আসছে না।
স্থানীয় কামালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তুফা জানান, হাতি তাড়ানোর জন্য সীমান্তবাসীকে কেরোসিন তেল সরবরাহ করা হয়েছে। তারা এসব দিয়ে আগুন জ্বালাতে পারেন।
বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আবু হাসান সিদ্দিক বাংলানিউজকে বলেন, বনে খাদ্যের অভাবে এসময় ভারতীয় বন্য হাতিগুলো লোকালয়ে প্রবেশ করে। জান-মালের যাতে ক্ষতি না হয় সেদিকে প্রশাসনের সর্তক দৃষ্টি রয়েছে। হাতি তাড়ানোর জন্য হাতি রেসপন্স টিমকে মাঠে নামানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৬
জেডএস