ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফের সংগঠিত হওয়ার চেষ্টায় নব্য জেএমবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৬
ফের সংগঠিত হওয়ার চেষ্টায় নব্য জেএমবি ছবি- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

সরোয়ার জাহান, তামিম চৌধুরীসহ নব্য জেএমবির প্রথম সারির অনেক নেতাই ইতোমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছেন। আবার অনেকেই গ্রেফতার আছেন। বর্তমানে যারা আত্মগোপনে আছেন তারা ফের স্বল্প পরিসরে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছেন।

ঢাকা: সরোয়ার জাহান, তামিম চৌধুরীসহ নব্য জেএমবির প্রথম সারির অনেক নেতাই ইতোমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছেন। আবার অনেকেই গ্রেফতার আছেন।

বর্তমানে যারা আত্মগোপনে আছেন তারা ফের স্বল্প পরিসরে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছেন।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর বিমানবন্দর ও আদাবর এলাকা থেকে নব্য জেএমবির ৫ সদস্যকে আটক করে র্যাব।

আটকরা হলেন- মাওলানা আব্দুল হাকিম ফরিদী ওরফে সুফিয়ান (৪০), রাজীবুল ইসলাম ওরফে রাজীব ওরফে আহমেদ (২৯), গাজী কামরুস সালাম সোহান ওরফে আবু আব্দুল্লাহ (২৭), মো. সোহেল রানা ওরফে খাদেম ওরফে মোয়াজ্জিন ওরফে সোহেল ওরফে শহীদুল্লাহ (২৩) ও শেখ মো. আবু সালেহ ওরফে লিটন ওরফে হুরাইয়া (৪২)।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ১টি পিস্তল, ২টি ম্যাগজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, ১০টি ককটেল, ৫টি ডেটোনেটর, ১টি কয়েল তার, ১ কেজি সাদা পাউডার, ২০০ গ্রাম বারুদ, দেড় কেজি তারকাঁটা ও বল, ২টি সার্কিট বোর্ড ও ১৫টি ক্লিপ টাইপ সার্কিট উদ্ধার করা হয়।

আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ বলেন, তারা ফের সংগঠিত হওয়ার কথা বলেছে। তবে তাদের মূল পরিকল্পনা জানা যায়নি।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

মুফতি মাহমুদ বলেন, র্যাবের অভিযানে নব্য জেএমবির ইতোমধ্যে ৬ জন সদস্য নিহত ও ৩৩ জন গ্রেফতার আছেন। এছাড়া, অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানেও প্রথম সারির অনেক নেতাই নিহত হয়েছেন। কয়েকজন আত্মসমর্পণ করেছেন। এর ফলে সংগঠনের সদস্যদের মনোবলে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু ছোট ছোট পরিসরে তারা ফের সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। ফের সংগঠিত হতে তারা ঢাকায় আসে।

আটকদের মধ্যে গাজী কামরুস সালাম সোহান পেশায় একজন ইলেক্ট্রিক ইঞ্জিনিয়ার। সে ২০১১ সালে বন্ধু সিফাতের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে। তার মূল কাজ ছিল বিভিন্ন নাশকতার জন্য বিস্ফোরক তৈরি, প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা প্রদান।

মাওলানা আব্দুল হাকিম ছিলেন আধ্যাত্মিক প্রশিক্ষক। তিনি ভালো একজন বক্তা ও প্রশিক্ষক। নব্য জেএমবির সরোয়ার-তামিম গ্রুপে মানুষকে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করতে তিনি দায়িত্ব পালন করতেন।

সোহেল রানা ছিলেন সরোয়ার-তামিম গ্রুপের বিশ্বস্ত গুপ্তচর। গ্রুপের বিভিন্ন মিটিং স্থানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব পালন করতো সে।

শেখ আবু সালেহ সরোয়ার-তামিম গ্রুপের একজন কারাতে প্রশিক্ষক ছিলেন। সে সংগঠনের সদস্যদের শারিরীক প্রশিক্ষণ দিতেন।

রাজীবুল ইসলাম ছিলেন ক্ষুদ্রাস্ত্র চালানোয় পারদর্শী। সে সদস্যদের অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেন।

**রাজধানীতে জেএমবি’র ৫ সদস্য আটক

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৬
পিএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।