রাঙামাটি: রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে পাহাড়ে জুমচাষ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সকালে জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা।
সভায় বক্তব্য রাখেন- চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার রাজা দেবাশীষ রায়, জেলা পরিষদ সদস্য মো. মুছা মাতব্বর, অংসুই প্রু চৌধুরী, পরিষদের আইন বিষয়ক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম জাকির হোসেন, নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনতোষ চাকমা, জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরা, হেডম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কেরোল চাকমা প্রমুখ।
সভায় জানানো হয়, চট্টগ্রাম হিল ট্রাক্স রেগুলেশন ১৯০০ এর অধীনে রুলস ফর দ্যা অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব দ্যা চট্টগ্রাম হিল ট্রাক্সের জুমচাষ নিয়ন্ত্রণ বিধি ৪১ ও ৪২ সংশোধন করে সরকার পাহাড়ে জুমচাষ ব্যবস্থাপনার কর্তৃত্ব রাঙামাটিসহ তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ২০১৩ সালের ২৫ এপ্রিল এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করে। এরই আলোকে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ জুমচাষ ব্যবস্থাপনায় প্রবিধান প্রণয়ন করবে। এরই মধ্যে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ জুমচাষে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামত নিতে শুরু করেছে। এরই অংশ হিসেবে সকালে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ সংক্রান্ত পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় চাকমা সার্কেল চিফ রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ কর্তৃক প্রণীত খসড়া প্রবিধানের প্রতিটি অধ্যায়ের ওপর মতামত ব্যক্ত করেন। তিনি জুম সংক্রান্ত প্রবিধান প্রণয়নের সময় পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথাগত বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দেন।
এটি যাতে দেশের প্রচলিত আইন এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহ্য ও কৃষ্টির সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হয় সেদিকে নজর রাখার পরামর্শ দেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৬
আরবি/এসআই