রাজশাহী: রাজশাহীতে দুই স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় প্ররোচনার মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে মহানগরীর মতিহার থানায় আলাদাভাবে দুইটি মামলা দায়ের করা হয়।
বিপ্লব রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। পাশাপাশি একটি কিন্ডার গার্টেনে শিক্ষকতাও করেন তিনি। সেটি শম্পার স্কুলের সামনেই অবস্থিত।
ঘটনার পর দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রথম তাকে আটক করে মতিহার থানা পুলিশ। পরে বিকেলে মামলার পর তাকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। বর্তমানে বিপ্লবকে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সকালে তাকে আদালতে পাঠানোর কথা রয়েছে।
রাজশাহীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবীর সন্ধ্যায় এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন আত্মহত্যার প্ররোচনায় আলাদা মামলায় মুন্না নামের আরও এক বখাটে যুবককে খুঁজছে পুলিশ। সে স্কুলে যাওয়ার পথে বর্ণাকে উত্ত্যক্ত করতো বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
মতিহার থানার ওসি হুমায়ন কবীর বলেন, দুই স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধারের সময় ঘটনাস্থল থেকে পৃথক ‘সুইসাইড নোট’ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে শম্পার সুইসাইড নোটে বিপ্লব হোসেনের নাম লেখা ছিল। তাই বিপ্লব হোসেনকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
এছাড়া বর্ণার সুইসাইড নোটে লেখা মুন্না নামের আরও এক বখাটে যুবককে বর্তমানে খুঁজছে পুলিশ। তাকে পাওয়া গেলে উভয়কে মুখোমুখি করা হবে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডেরও আবেদন জানানো হবে। তাদের রিমান্ডে নিলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে বলে জানান ওসি।
এর আগে মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মহানগরীর মতিহার থানার শাহাপুর এলাকার মুক্তার আলীর বাড়ি থেকে স্কুলছাত্রী উম্মে মারিয়া শম্পা (১৪) ও তামিমা খাতুন বর্ণার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর মধ্যে শম্পা মুক্তার আলীর মেয়ে এবং বর্ণা একই এলাকার নজরুল ইসলামের মেয়ে।
তারা দু’জনই মহানগরীর মতিহার থানার বেলঘরিয়া আবদুস সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। এর মধ্যে বিপ্লব হোসেনের সঙ্গে শম্পার প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং মুন্না নামের এক যুবক স্কুলে যাওয়ার পথে বর্ণাকে উত্ত্যক্ত করতে বলে মামলা ও প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘন্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৬
এসএস/আরআই