ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বড়দিনের মূল অনুষ্ঠান রাত ১২টায় চান খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৬
বড়দিনের মূল অনুষ্ঠান রাত ১২টায় চান খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা ছবি:রানা-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

নিরাপত্তাজনিত কারণে এবার আর সন্ধ্যা বেলাতেই বড়দিনের অনুষ্ঠান শেষ করতে চান না খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রাখতে ২৪ তারিখ দিবাগত রাত ১২টার সময়ই বড়দিনের মূল প্রার্থনার অনুষ্ঠান শুরু করতে চান তারা।

ঢাকা: নিরাপত্তাজনিত কারণে এবার আর সন্ধ্যা বেলাতেই বড়দিনের অনুষ্ঠান শেষ করতে চান না খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রাখতে ২৪ তারিখ দিবাগত রাত ১২টার সময়ই বড়দিনের মূল প্রার্থনার অনুষ্ঠান শুরু করতে চান তারা।

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) শুভ বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর সবুজবাগে ডেডিকেটেড খ্রিস্টিয়ান অর্গানাইজেশন (বাংলাদেশ) নামে এক সংগঠনের বৈঠক থেকে এমন দাবির কথা উঠে আসে। সবুজবাগের ফ্লোরেন্স ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে আলোচনা প্রসঙ্গে সংগঠনের প্রেসিডেন্ট রেভা. ম্যানুয়েল বাংলানিউজকে বলেন, বিগত কয়েকবছর ধরে নিরাপত্তাজনিত কারণে ২৫ ডিসেম্বরের অনুষ্ঠান ২৪ ডিসেম্বরেই শুরু করতে হয়। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টার মধ্যেই আমাদের মূল প্রার্থনা শেষ করতে হচ্ছে। এতে আমাদের ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য রক্ষা হয় না। তাই প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী বড়দিনের মূল অনুষ্ঠান ২৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১২ টা ১ মিনিটেই শুরু করতে চাই।

তিনি বলেন, বড়দিন উপলক্ষ্যে আমরা ডিসেম্বরের প্রথম দিন থেকে বাড়ি বাড়ি কীর্তন করে থাকি। সেটাও নিরাপত্তার কারণে গত কয়েক বছর বন্ধ আছে। এবার থেকে আমরা সেটাও শুরু করতে চাই।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় পরিপূর্ণ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য রক্ষা করে বড়দিনের অনুষ্ঠান পালন করার দাবি জানান তিনি।

অন্যান্য দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ দেশের নাগরিক হিসেবে আমরাও সমান অংশীদার। তাই আমাদের প্রধান ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যেন তিন দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

ডিসেম্বরের আগেই সংবাদ সম্মেলন করে তাদের সকল দাবিগুলো সকলের সামনে তুলে ধরা হবে বলেও জানান তিনি।
বৈঠকে অংশ নেওয়া আমন্ত্রিত অতিথি থমাস লাভলু মণ্ডল বলেন, ইস্টার সানডেতে পৃথিবীর সকল দেশেই সরকারি ছুটি থাকে। কিন্তু আমার দেশে নাই। এ বিষয়ে অনেকবার দাবি জানালেও কোন কাজ হয়নি।

তিনি আরো বলেন, ২৫ তারিখ বড়দিন, অথচ ২৫ ও ২৬ তারিখে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা থাকে। আমাদের প্রধান অনুষ্ঠান বিবেচনা করে এই দুই দিন যেন কোন পরীক্ষা না থাকে সে দাবি জানাচ্ছি।

বৈঠকে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক সুমন সলোমন গমেজ ছাড়াও সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৬
পিএম/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।