শরীয়তপুর: শরীয়তপুর সদর উপজেলার দেওভোগ গ্রামে ছেলে নাঈম ইসলামকে (১৩) হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন মা লুৎফা বেগম।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে পালং মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে দেওভোগ গ্রামের নিজ বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে নুরুল ইসলাম তালুকদারের ছেলে নাঈমের বস্তাবন্দি অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) নাঈমের মা লুৎফাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে একপর্যায়ে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেন। পরে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ সুপার বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে লুৎফা জানিয়েছেন, নাঈম ছিল দূরন্ত ও দুষ্টু প্রকৃতির। মায়ের কোনো শাসন সে মানতো না। সে খারাপ ছেলেদের সঙ্গে মিশে নেশা ও চুরি করতো। তাকে একটি মাদ্রাসায় ভর্তি করা হলেও সে ঠিকমতো লেখাপড়া করতো না। ছেলের আচরণে তিনি অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন।
৬ নভেম্বর রাত ১১টার দিকে তিনি এ নিয়ে ছেলেকে শাসন করতে গেলে নাঈম তাকে বকা দেয় এবং মারতে আসে। এ কারণে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে লাথি মারেন। লাথি স্পর্শকাতর জায়গায় লাগলে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে এবং কিছুক্ষণ পরেই মারা যায়। পরে ছেলের মরদেহ প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে বাড়ির পাশের একটি কচুরিপানার ডোবায় তিনি লুকিয়ে রাখেন।
তিনি আরো জানান, মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) স্থানীয়রা মরদেহের দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নাঈমের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নাঈমের বাবা নুরুল ইসলাম পালং থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৬
আরবি/আরএ