চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গৌরবময় ৫০ বছরের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত মনমাতানো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সুরের যাদুতে প্রাণবন্ত ও মুখরিত করে তুললেন বিশ্বের জনপ্রিয় ও কিংবদন্তী শিল্পী রুনা লায়লা।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে জিইসি কনভেনশন সেন্টারে এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়।
শুরুতেই মঞ্চে ওঠেন জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী সন্দীপন। শুরুতেই 'সোনাবন্ধু তুই আমারে করলি রে দিওয়ানা/ মনে তো মানে না দিলে তো বুঝে না' গানটি ধরতেই দর্শকশ্রোতারা প্রাণবন্ত হয়ে চিৎকার করে উঠেন।
এরপর শিল্পী সন্দিপন গেয়ে উঠেন 'বসন্ত বাতাসে সই গো/ বসন্ত বাতাসে/ বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ/ আমার বাড়ি আসে'।
এরপর চট্টগ্রামের জনপ্রিয় গান 'মধু কই কই বিষ খাওয়াইলা/ হন হারণে ভালবাসার দাম নদিলা', 'ওরে কালা ভ্রমরা/ আই আইজ ফুলর কড়া্ / কলিত বই্ মুখখান ন লাগাইয়', 'আহারে মনধনু'।
এরপর মঞ্চে আসেন শিল্পী হৈমন্তি রক্ষিত মান। তিনি গেয়ে উঠেন 'ওরে সাম্পানওয়ালা তুই আমারে করলি দিওয়ানা', 'স্বাদের লাউ বানাইল মোরে দিওয়ানা'
এরপর মঞ্চে আসেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী তপন চৌধুরী। তিনি গেয়ে উঠেন 'তুমি আমার প্রথম সকাল', ও পাগল মন রে, আইচ্ছা পাগল মন রে'।
শিল্পীদের যন্ত্রাণুষঙ্গে সহযোগিতা করেন কিবোর্ডে হিল্লোল রায়, অক্টোপ্যাডে অসীম দাশ, তবলায় মনোজ, পারকিউশনে বাপ্পা, গিটারে মুখেশ ও বাবু।
ঘড়ির কাটায় রাত ১০টা ছুঁই ছুঁই। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী মাইক্রোফেন হাতে নিয়ে দর্শকদের অভিবাদন জানিয়ে মঞ্চে আহবান জানান, জনপ্রিয় ও কিংবদন্তী শিল্পী রুনা লায়লা।
তিনি মঞ্চে উঠার সাথে সাথে উপস্থিত ৫ হাজারোধিক দর্শকশ্রোতারা করতালিতে মুখরিত করে তোলে জিইসি কনভেনশন সেন্টারের মাঠ প্রাঙ্গন।
শুরুতেই 'দেশের জন্য যারা দিয়ে গেছেন প্রাণ/ ভুলি নি আমরা', এই দেশের গানটি পরিবেশন করেন।
এরপর একে একে গেয়ে উঠেন ' প্রতিদিন তোমায় দেখি সূর্য্যর আগে', আমায় গেথে দাও না মাগো, দাইয়ারে দাইয়া কাটা চুবা, বন্ধু তিনদিন তোর বাড়িতে গেলাম/ দেখা পাইলাম না।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৬
এসবি/ টিসি