ঢাকা: ঢাকায় শিশুদের খেলার জায়গা কম, চাকরির কারণে খুব একটা সময় পাই না। ছুটির দিনটা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটে।
মেয়ে আদ্রিতাকে আদর করতে করতে পেশায় শিক্ষক শাহেদুল আমিন আরো বলেন, মেয়েকে নিয়ে প্রতি শুক্রবার ঘুরতে বের হই। যেন সে বাইরে একটু হাঁটাহাঁটি, খেলাধুলা আর দৌড়ঝাঁপ করতে পারে। এতেই মেয়েটা অনেক আনন্দ পায়। আর ওই আনন্দভরা মুখটাই আমার বুক ভরে দেয়।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগের শিশুপার্কে দুই বছরের সন্তান আদ্রিতাকে নিয়ে বেড়াতে এসেছেন তিনি।
শুধু আদ্রিতা আর তার বাবাই নয়, অসংখ্য কচিকাঁচাদের আনাগোনায় মুখর হয়ে ওঠে শাহবাগের শিশুপার্কটি। ছুটির দিন থাকায় শিশুপার্কে ছিল উপচেপড়া ভিড়। বিকেল থেকেই শিশুপার্কের প্রবেশ মুখে শুরু হয় ভিড়। টিকিট কেটে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন অনেকেই।
ভেতরেও ছিল একই চিত্র। প্রতিটি রাইডে ছিল লম্বা লাইন। সন্তানকে নিয়ে বিকেলটা আনন্দে কাটাতেই এসেছিলেন তারা।
শাহেদুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, শিশুদের মনের বিকাশের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজন বাবা-মায়ের ভালোবাসা। আর তাদের নিয়ে ঘুরে বেড়াতে একটু সময় দিলে মানসিকতা ভালো হয়।
ওরা নতুন কিছু দেখে, শিখে, এতেই শিশুদের মনের বিকাশ ঘটে-যোগ করেন তিনি।
খুলনার মংলা পোর্ট থেকে ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডের আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন সুমন ও পরিবার। তার ছোট বোন ও বোনের মেয়ে দুই বছরের শিশু মাইশাকে নিয়ে এসেছেন শিশুপার্কে।
এদিকে, শিশু পার্কে ঘুরতে সপরিবারেও অনেকেই বেড়াতে এসেছেন।
পার্কের ভেতরে রয়েছে রাইডস ‘এসো গাড়ি চড়ি’। রাইডসটি ৬ থেকে ১০ বছরের শিশুদের জন্য। একটিতে শিশু নিলা এবং অন্যটিতে চড়েছে সজিব। লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলো বেশ কিছু শিশু। তাদের চোখ শুধু গাড়ির দিকেই। অপেক্ষা, কখন গাড়িতে চড়বে।
নিলার মা ফাতেমা বাংলানিউজকে বলেন, জেদ ধরেছে সে গাড়িতে চড়বে। তাই অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেই ওর চাওয়াটা পূরণ করলাম।
এদিকে, শিশুদের পাশাপাশি কিশোর-কিশোরী, যুবক-যুবতীরাও এসেছিলেন পার্কে সময় কাটাতে। বিভিন্ন রাইডসে ওঠে আনন্দ উপভোগ করতেও তাদের দেখা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৬
এসজেএ/জেডএস