ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আবর্জনা আর হৈ হুল্লোড়ে পরিবেশ বিঘ্নিত বোটানিক্যাল গার্ডেনে!

সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৬
আবর্জনা আর হৈ হুল্লোড়ে পরিবেশ বিঘ্নিত বোটানিক্যাল গার্ডেনে! ছবি- রানা- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

প্রকৃতি এখানে কোলাহলযুক্ত। নিভৃত উদ্ভিদ-বৃক্ষের ছোঁয়া নয় বরং হৈ হুল্লোড়ে মত্ত পুরো এলাকা। আর যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখা। কোথাও কোথাও আবজনার উঁচু স্তূপ জমে পড়ে আছে। 

ঢাকা:  প্রকৃতি এখানে কোলাহলযুক্ত। নিভৃত উদ্ভিদ-বৃক্ষের ছোঁয়া নয় বরং হৈ হুল্লোড়ে মত্ত পুরো এলাকা।

আর যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখা। কোথাও কোথাও আবজনার উঁচু স্তূপ জমে পড়ে আছে।  

আর দেয়াল টপকে বোটানিক্যাল গার্ডেনের এক টিকিটে চিড়িয়াখানার বাঘ ভাল্লুকও দেখা যাচ্ছে! আবার কেউ চিড়িয়াখানা থেকে টিকিট ছাড়াই ঢুকে পড়ছে বোটানিক্যাল গার্ডেনে।
 
মিরপুরে চিড়িয়াখানার পাশে জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান হিসেবে বাংলাদেশে উদ্ভিদ প্রজাতি সংরক্ষণ, গবেষণা ও প্রদর্শনের সবচেয়ে বড় কেন্দ্রের এখন এই অবস্থা।
 
শুক্রবার (নভেম্বর ১৮) সারাদিন মিরপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন ঘুরে এমন সব চিত্র দেখা গেছে। সকাল ১০ টায় চিড়িয়াখানার ভেতরে হৈ হুল্লোড়ে চলছে ফুটবল খেলা।  তারপরে আরো কয়েক কদম এগিয়ে গিয়েই দেখা গেছে ক্রিকেটে ব্যস্ত এই জাতীয় উদ্যানের সবুজ প্রকৃতি।
 
তার আগে গেট দিয়ে ঢুকেই ভিজিটর কেন্দ্রের পেছনের দেয়াল টপকে অহরহ চিড়িয়াখানায় প্রবেশ ও চিড়িয়াখানা থেকে বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশের চিত্র দেখা গেছে।

কেউ কেউ বোটানিক্যাল গার্ডেন দেখে অনায়াসে দেয়াল টপকে ঢুকে পড়ছেন চিড়িয়াখানায়। আবার চিড়িয়াখানা দেখা শেষে কেউ কেউ বোটানিক্যাল গার্ডেন ঢুকে বেরিয়ে যাচ্ছেন।
 
আবার লালটেক নামে গার্ডেনের পেছনের একটি এলাকার লোকজন দেয়াল টপকে অনায়াসে উদ্যানের ভেতর দিয়ে যাতায়াতের রাস্তা তৈরি করেছেন।  উদ্যানের যে বৈশিষ্ট্য আর নীতিমালা তার সঙ্গে ব্যাপক অমিল দেখা গেছে।

একজন পর্যটকের জন্য কোন দিক নির্দেশনা নেই উদ্যানের ভেতরে।  জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান হলেও এখানে উদ্ভিদের পরিচয় জানার কোন অবস্থা চোখে পড়েনি।  হাজার হাজার বৃক্ষরাজির মাঝে মাত্র গুটিকয়েক গাছে তার পরিচয় লেখা আছে। এর বাইরে কিছুই নেই।
 
উদ্যানের হিসেবে প্রতিবছর ১৫ লাখ দর্শনার্থী এখানে আসেন। কিন্তু কি দেখে তারা কি শিখছেন তার হিসেব নেই কারও কাছে।  তবে শেখা আর ভ্রমণ নয় বরং ‘ডেটিং প্লেস’ হিসেবে অনেকেই বেছে নিচ্ছেন জাতীয় এই স্থাপনাকে।

আর সবুজ প্রকৃতিকে কতটা অপরিচ্ছন্ন করে রাখা যায়, তা উদ্যানের মূল গেট থেকেই দেখা যাচ্ছে। ভেতরে যতদূর যাওয়া যায় ততদূরই পলিথিনসহ আবর্জনা চোখে পড়ে।  
 
বিকেলের দিকে উদ্যানে ভিড় ভেড়েছে কিন্তু নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্যানের চারপাশে দেয়াল আর কোন ব্যবস্থা দেখা যায়নি। তবে দেয়াল যে টপকে অনায়াসে যাতায়াত করা যায় সেটা শুরুতেই দেখা গেছে। এজন্য বিকেল হলেই ভেতরে এক ধরনের আতংকের অবস্থাও বিরাজ করে।

১৯৬১ সালে প্রায় ২০৮ একর (৮৪ হেক্টর) জায়গা জুড়ে বোটানিক্যাল গার্ডেনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ঢাকার আরেকটি উদ্যান বলধা গার্ডেন প্রশাসনিক দিক দিয়ে এই উদ্যানেরই অংশ। জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ উদ্ভিদ উদ্যান।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৬৫ে৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৬
এসএ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।