ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অভিযানের পরেও চড়া দাম চিড়িয়াখানার দোকানগুলোতে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৬
অভিযানের পরেও চড়া দাম চিড়িয়াখানার দোকানগুলোতে ছবি- রানা-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

‘এই মামা খাইয়া যান, গরম গরম খাইয়া যান, আগে খান পরে দাম, ফুরাই গেলে পাইবেন না, মজার কাচ্চি, খাইয়া যান, দাম মাত্র ২শ টাকা।’

ঢাকা: ‘এই মামা খাইয়া যান, গরম গরম খাইয়া যান, আগে খান পরে দাম, ফুরাই গেলে পাইবেন না, মজার কাচ্চি, খাইয়া যান, দাম মাত্র ২শ টাকা। ’
 
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর ২টা।

রাজধানীর জাতীয় চিড়িয়াখানার সামনে একটি দোকানে দুপুরের খাবারের জন্য এভাবে ক্রেতাদের মনযোগ আকর্ষণ করছিলেন কাচ্চিবিক্রেতা ছালামত মিয়া।
 
ছালামতের বাড়ি কুষ্টিয়া। এই এলাকায় পাঁচ বছর ধরে ব্যবসা করছেন।  তার দোকানে কোন খাবারের দাম কেমন জানতে চাইলে তিনি জানান, কাচ্চি হাফ ২০০ টাকা, তেহারি হাফ ১৫০ টাকা ও মোরগ পোলাও ১৬০ টাকা।
 
অন্য দোকানের তুলনায় খাবারের দাম বেশি কেন জানতে চাইলে ছালামত বলেন, এইহানে খাবারের দাম একটু বেশি। পাওয়া যায় না তাই দাম বেশি।
 
তিনি জানান, আগে প্রায় ৫০টির মতো খাবারের দোকান ছিলো। র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত উঠিয়ে দিয়েছেন। এখন রয়েছে ২০টির মতো দোকান। দোকান কম হওয়ায় দাম বেশি।
 
এদিন চিড়িয়াখানা ও তার আশেপাশের দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, খাবারের দাম তুলনামূলক অনেক বেশি। সব খাবার রাজধানীর অন্য অঞ্চলের দোকানের তুলনায় ৫০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
 
এছাড়া কোমল পানীয় যেমন- কোক, ফান্টা, ক্লেমন, ফ্রুটো, জিরাপানি, ইউরো লেমন, সেভেন আপ, টাইগারসহ বিভিন্ন পানীয় বিক্রি হচ্ছে কোম্পানির নির্ধারিত দামের চেয়ে প্রায় ১০ টাকা বেশি দামে।
 
সালামতের দোকানে পরিবারের সদস্যসহ কাচ্চি খাচ্ছিলেন সাদেক রহামান।  সাদেক বাংলানিউজকে বলেন, সব খাবারের দাম বেশি। গলাকাটা দাম। এখানে হাফ কাচ্চি ২০০ টাকা। কিন্তু অন্য জায়গায় ১০০ থেকে ১৫০ টাকা।

চিড়িয়াখানার সামনে কোমল পানীয়ের ব্যবসা করেন মানিকগঞ্জের আব্বাস আলী। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ভেজাল খাবার বিক্রি ও বেশি দাম নেওয়ায় র‌্যাবের অভিযানে ছয় মাস আগে ২০টির মতো দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়।  এরপরও কেন বেশি দামে বিক্রি করছেন জিজ্ঞেস করলে কোনো সদুত্তর মেলেনি।
 
ক্রেতাদের অভিযোগ, চিড়িয়াখানায় অন্য দিনের চেয়ে শুক্রবার দর্শনার্থীদের সমাগম বাড়ে। সেই সুযোগে সব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন বিক্রেতারা।
 
মাত্র ছয় মাস আগে ভেজাল খাবার বিক্রি ও দাম বেশি নেওয়ার কারণে প্রায় ২০টির মতো দোকান বন্ধ করে দেওয়া হলেও এখনও চলছে আগের মতোই। প্রতিটি পণ্যে নির্ধারিত মূল্যের চেয়েও বিক্রেতারা বেশি দাম নিচ্ছেন।
 
এ বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যাব হেডকোয়ার্টারের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বাংলানিউজকে বলেন, গোয়েন্দা তথ্য ও অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অভিযান  চালিয়ে থাকি। চিড়িয়াখানায় এর আগে অভিযান চালিয়ে অনেগুলো দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এ ধরনের ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৬ 
আরএটি/এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।