ঢাকা: সীমান্তে বসবাসকারী মানুষের জীবনাচার নিয়ে দুই তানিয়ার গল্প লিখেছেন কলকাতার লেখক অন্তরা গাঙ্গুলী।
তার এ বইয়ে সীমান্তে বসবাসকারী মানুষের জীবনাচরণ কেমন হয়, সমাজ তাদের কোন চোখে দেখে এসব বিষয় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
বাংলা একাডেমিকে অনুষ্ঠিত ‘ঢাকা লিট ফেস্টে’ ‘তানিয়া-তানিয়া’ শীর্ষক বইটি প্রকাশ করা হয়। শনিবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বারিধারায় ভারতীয় হাইকমিশনের চ্যান্সরি ভবনে ‘বই পড়া ও স্বাক্ষর’ অনুষ্ঠানে এসব কথা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।
নিরুপমা শুভ্রামানিয়ামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে লেখক অন্তরা গাঙ্গুলী বইটি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন এবং পড়ে শোনান।
বইটির বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন ভারতের জয়পুর সাহিত্য উৎসবের প্রধান সমন্বয়ক সঞ্জয় রায়।
অন্যদের মধ্যে ছিলেন-সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, আবুল খায়ের লিটু প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্যে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, ‘বইটি যতটুকু পড়েছি তাতে মনে হয়েছে তা ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে। ’
বইটির লেখক অন্তরা গাঙ্গুলী বলেন, সীমান্ত এলাকার মানুষের জীবনাচার বিশেষ করে নারী শিশুদের বর্ণনা লিখতে গিয়ে আমি অনেকটা ইমোশনাল হয়ে পড়েছি।
‘‘তানিয়া–তানিয়া (Tanya-Tania)’ বইটির এক তানিয়া করাচির। আর অপরজন-ভারতের বোম্বের। তাদের সীমান্তে চলে যাওয়ার বিষয় নিয়ে বইটির গল্প এগিয়েছে। ’’
বাংলাদেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমার বাবা-মা কলকাতায় থাকেন। আমি এখানে অর্থাৎ ঢাকায় প্রায় একবছর ছিলাম। এখনও রোজ এদেশ ও মানুষকে মানুষকে অনুভব করি। ’
‘এখানে এলে মনে হয় আমার নিজের বাড়িতেই আছি,’ বলেন অন্তরা গাঙ্গুলী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৬
এসএম/এমএ