ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পথশিশু ও ছিন্নমূল মানুষের রাত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৬
পথশিশু ও ছিন্নমূল মানুষের রাত

রাত ২টা। পুরো নগর যখন স্বস্তির ঘুমে আচ্ছন্ন তখনও নগরীর এক কোণায় জেগে রয়েছে ছিন্নমূল কয়েকশ’ মানুষ ও পথশিশুরা। খবরের কাগজকে বিছানা করে কোনো রকমে রাত পার করছে তারা। সুবিধাবঞ্চিত এসব মান‍ুষের শেষ আশ্রয় হয়েছে রেলস্টেশন।

ঢাকা: রাত ২টা। পুরো নগর যখন স্বস্তির ঘুমে আচ্ছন্ন তখনও নগরীর এক কোণায় জেগে রয়েছে ছিন্নমূল কয়েকশ’ মানুষ ও পথশিশুরা।

খবরের কাগজকে বিছানা করে কোনো রকমে রাত পার করছে তারা। সুবিধাবঞ্চিত এসব মান‍ুষের শেষ আশ্রয় হয়েছে রেলস্টেশন।

শনিবার (১৯ নভেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে সরেজমিনে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, স্টেশনে শুয়ে আছে ককয়েকশ’ মানুষ। রয়েছে পথশিশুরাও। তাদের বেশির ভাগ স্টেশন এলাকার হকার। শহরে থাকার জায়গা না থাকায় রাতে স্টেশনে ঘুমায় তারা।

পথশিশুদের বেশিরভাগের সাথে নেই কোনো অবিভাবক। তারা যেখানে খুশি ঘুরে বেড়াচ্ছে। একটি মাত্র কম্বল বা ছেঁড়া কাথার নিচে পেপার বিছিয়ে শীতের রাত পাড়ি দিচ্ছে তারা।

কুয়াশাপড়া শীতের রাতে পথশিশু স্বপন ছেড়া-ময়লা ফুল হাতা টি-শার্টের সঙ্গে হাফ প্যান্ট পরিহিত। হাতে পত্রিকার কয়েকটি কুড়ানো পাতা নিয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছুটোছুটি করছে।

৬ বছর বয়সী স্বপন জানায়, তার বাবা-মা নেই। ছোট থেকেই স্টেশনে বড় হয়েছে। দিনের বেলায় ময়লা টোকায়। রাতে স্টেশনে ঘুমায়।

স্টেশনে রাতযাপন করা আব্দুল মফিজ ও সাইদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, তাদের বাড়ি জামালপুর। তারা ঝুড়িতে করে চকলেট, জুস, পানি, বিস্কুটসহ বিভিন্ন পণ্য হকারি করেন। থাকার কোনা জায়গা না থাকায় রাতে স্টেশনে ঘুমান।
 
রাতের স্টেশনে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন সাব-ইন্সপেক্টর পলাশ চন্দ্র সরকার। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, স্টেশনে প্রায় শতাধিক শিশু রয়েছে। যারা বোঝা টানে ও ময়লা কুড়ায়।   রাত হলে শুয়ে পড়ে স্টেশনে ও তার আশ পাশের এলাকায়। এদের সঙ্গে বেশকিছু ছিন্নমূল মানুষও স্টেশনের রাতযাপন করেন। এদের বাড়ি-ঘর নেই, স্টেশনকেন্দ্রিক জীবন তাদের।

**সংসারের চাকা ঘুরাতে শিউলির নির্ঘুম রাত

বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৬
আরএটি/এমজেএফ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।