স্কয়ার হাসপাতাল ঘুরে (ঢাকা): কেবিন নম্বর ১১২৯, ঢুকতেই ডান পাশে চোখে পড়ে একটি বেড, পাশে রয়েছে বসার জন্য সোফা, বাম পাশে হুইল চেয়ার, ওষুধ রাখার জন্য একটি ডেস্ক, বেডের পূর্ব পাশে টিভি, রোগীর গায়ে অফহোয়াইট রংয়ের গাউন, মাথায় আকাশি রংয়ের টুপি।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) কথা হয় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের কেবিনে চিকিৎসাধীন সিলেটের আলোচিত কলেজ ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসের সঙ্গে।
কেবিনে, বিছানায় বালিশে হেলান দিয়ে বসে আছে নার্গিস। বাবা মাসুক মিয়া তাকে ফল কেটে খাওয়াচ্ছিলেন। খাওয়ার সময় নার্গিস টিভি দেখছিলেন।
তবে নার্গিসের দু’হাত ব্যান্ডেজ করা। ব্যান্ডেজের ফাঁক দিয়ে ডান হাতের বেশ কয়েকটি আঙ্গুল বেরিয়ে আছে।
নার্গিসের বাবা মাসুক মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, নার্গিসের অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো। দুই হাত এবং দুই পা নাড়াচাড়া করতে পারে। এছাড়া শোয়া থেকে ধরে ওঠালে বিছানা ও হুইল চেয়ারে বসে থাকতে পারে। কিন্তু হাঁটতে পারে না। নার্গিসকে সব ধরনের খাবার দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
খাদিজার ভাই শাহীন আহম্মেদ এখন এমবিবিএস শেষ বর্ষের পরীক্ষা দিতে চীনে আছেন। চীনের রাজধানী বেইজিং-এ নর্থ চায়না ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে পড়ছেন তিনি। আগামী ২০ নভেম্বর তার বাড়ি আসার কথা রয়েছে। ভাইয়ের অপেক্ষায় রয়েছেন নার্গিস। নার্গিস জানান, ‘ ধীরে ধীরে ভালো হয়ে উঠছি, ভাই আসলেই বাড়ি ফিরব।
স্কয়ার হাসপাতালের মেডিসিন অ্যান্ড ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের অ্যাসোসিয়েট মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. মির্জা নাজিমউদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, নার্গিসের শারীরিক অবস্থা অনেক ভালো। আশা করছি আরো ভালো হবে। যেহেতু বড় ধরনের ইনজুরি, তাই সময়টা বেশি দরকার হচ্ছে।
তিনি বলেন, ২২ নভেম্বর নার্গিসের মাথার সেলাই কাটার কথা রয়েছে। এছাড়া ২৪ অথবা ২৫ তারিখ তাকে সাভারের সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অফ দ্য প্যারালাইজড (সিআরপি) এ নেওয়া হবে।
গত ৩ অক্টোবর খাদিজা আক্তার নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে আহত করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলম। এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয় সারা দেশে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৬
আরএটি/আরআই