বগুড়া: বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেলো প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষার্থী সীমা খাতুন।
এ সময় মেয়ের দাদা আব্দুল জব্বার (৭০) ও ছেলের বাবা দেলোয়ার হোসেনকে (৬৫) এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
রোববার (২০ নভেম্বর) বিকেলে বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. শরীফুন্নেসার ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অভিযান পরিচালনা করেন।
সন্ধ্যায় অভিযানে সহায়তাকারী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন বাংলানিউজকে বিষয়টি জানিয়ে বলেন, সীমা খাতুন উপজেলার ৫ নম্বর ভাটগ্রাম ইউনিয়নের লুস্কুর গ্রামের আব্দুল গফুরের মেয়ে। সে ভুস্কুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষার্থী।
রোববার বিকেলে আদমদীঘি উপজেলার কাথলা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সরোয়ার হোসেনের (৩৫) সঙ্গে বাল্যবিয়ের বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. শরীফুন্নেসার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন।
পাশাপাশি মেয়ের দাদা ও ছেলের বাবাকে মোট দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। যোগ করেন মহিলা বিষয়ক এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৬
এমবিএইচ/জিপি/এএ