জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: জাহাঙ্গীরগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ১৭জনকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর মধ্যে ১২ জনের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
রোববার (২০ নভেম্বর) ‘ডি’ ইউনিটের (জীববিজ্ঞান অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষার চলাকালীন বিভিন্ন শিফটে তাদের আটক করা হয়।
পুলিশে সোপর্দকৃতরা হলেন, ঢাকা মিরপুরের সোয়েব আলম চৌধুরী, ভোলা জেলার সদর উপজেলার মোরশেদ আলম জামান ও মাহবুবুর রহমান, দিনাজপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার মনিরুল ইসলাম, পাবনা জেলার আশিক কবির।
জানা যায়, গোপন সূত্রের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন সাংবাদিকদের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশ থেকে সন্দেহজনক ভাবে ৭জনকে আটক করে। পরবর্তীতে তাদের
দেওয়া তথ্য মতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাফেটেরিয়া থেকে আরো ৪জনকে আটক করা হয়।
এছাড়া পুরান কলা ভবন এলাকা থেকে ৫জন এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে আরো ১জনকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
পরে তাদের জিজ্ঞাসা করা হলে জালিয়াতির কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় ১২জনকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আর বাকি ৫জনকে আশুলিয়া পুলিশে সোপর্দ করা করা হয়।
এর মধ্যে সোয়েব আলম চৌধুরী ও মোরশেদ আলম জামান জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে জড়িত। আর বাকি ৩জনের মধ্যে দু’জন ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থী ও একজন জালিয়াতি চক্রের এক সদস্যের সঙ্গে ঘুরতে আসেন।
সোয়েব আলম চৌধুরী ইউসিসি ভর্তি কোর্চিং সেন্টারের ভর্তি ফরম পূরণ করে থাকে। আর তার সঙ্গে মোরশেদ আলম জামান যোগ হয়ে ভর্তি ইচ্ছুকদের কাছ থেকে প্রতি জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করানোর জন্য ৫-৬ লাখ টাকার চুক্তি করে একাধিক ভর্তি ইচ্ছুদের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
রোববার চুক্তিকৃত ভর্তি ইচ্ছুদের সঙ্গে এ দু’ব্যক্তি ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারের পাদদেশে কথা বলার সময় তাদের আটক করা হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় আমরা ১২জনকে মুচলেকা নিয়ে তাদের পরিবারের কাছে পাঠিয়েছি এবং জালিয়াতির দায়ে ৫জনকে আশুলিয়া থানা পুলিশে সোপর্দ করেছি।
বাংলাদেশ সময়:০২১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৬
এসএইচ