ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চার দেয়ালে বন্দি তাজরীনের বিচার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৬
চার দেয়ালে বন্দি তাজরীনের বিচার

চার বছর হতে চলেছে তাজরীন অগ্নিকাণ্ডের বিভীষিকাময় স্মৃতির। কিন্তু আজও তাজরীন অগ্নিকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া চার দেয়ালে বন্দি হয়ে পড়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান।

ঢাকা: চার বছর হতে চলেছে তাজরীন অগ্নিকাণ্ডের বিভীষিকাময় স্মৃতির। কিন্তু আজও তাজরীন অগ্নিকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া চার দেয়ালে বন্দি হয়ে পড়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান।

সোমবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে তাজরীন অগ্নিকাণ্ডের চার বছর পূর্তিতে সেফটি অ্যান্ড রাইটস ও ব্লাস্ট আয়োজিত আলোচনা সভায় বেলা সাড়ে এগারটায় এ মন্তব্য করেন তিনি।  

তিনি বলেন, তাজরীন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলা বিচারের চার দেয়ালেই বন্দি হয়ে আছে। শুধু তাই নয়, অনেক শিল্প দুর্ঘটনার বিচার শেষ পর্যন্ত আলো দেখতে পারে না, যা সত্যি দুঃখজনক। আমরা চাই এর বিচার হোক। এসব বিচার হলে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারের সুনাম অর্জন করতে পারবে।  

শ্রম দুর্ঘটনার বিচার প্রয়োজনে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে করার তাগিদ দেন ওয়াজেদুল ইসলাম খান।

তিনি আরো বলেন, প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। শ্রম আইনে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা থাকলেও মালিকরা তা করছেন না। শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ আইন সংশোধন করতে হবে। প্রয়োজন হলে ক্ষতিপূরণের জন্য ভিন্ন আইন প্রণয়ন করতে হবে।  

এ সময় সেফটি অ্যান্ড রাইটস’র নির্বাহী পরিচালক সেকেন্দার আলী মিনা জানান, ২০০৭ সাল থেকে ২০১৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১০ বছর ১০ মাসে কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ৪ হাজার ৬১৩ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। শুধু ২০১৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ২২৬টি কর্মক্ষেত্র দুর্ঘটনায় ৩৪১ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন।  

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না শ্রমিকরা। ফলে নিহত শ্রমিকের পরিবার ও আহতরা দারিদ্র্যতার শিকার হচ্ছেন। জরুরি ভিত্তিতে শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তি ও নূন্যতম মানদণ্ড নির্ধারণ প্রয়োজন।  

আলোচনা সভায় পোশাক শিল্পসহ অন্যান্য শিল্পের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করাসহ ৭ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।  

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো- আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত বিচারের ব্যবস্থা, সঠিকভাবে বিল্ডিং কোড মেনে চলা, আইন প্রণয়নকারী সংস্থাও যদি আইন প্রণয়নে অবহেলা করে তবে তা বিচারের আওতায় আনা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৬
ইউএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।