পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ে ন্যায্যমূল্যে চা পাতা বিক্রয়ের দাবিতে পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কে চা পাতা ছিটিয়ে প্রতিবাদ করেছেন ক্ষুদ্র চা চাষিরা।
সোমবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে শহরের শেরে বাংলা পার্কের পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কে ক্ষুদ্র চা চাষিরা চা পাতা ছিটিয়ে পথসভা করেন।
এর আগে বিকেলে সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের চা চাষিরা স্থানীয় স্যালিলেন টি কারখানায় চা পাতা বিক্রি করতে গেলে পর্যাপ্ত মজুদের অজুহাতে কারখানা কর্তৃপক্ষ চা কিনতে অস্বীকার করেন। এ সময় তারা ক্ষুব্ধ হয়ে মহাসড়কের প্রায় ১২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সেই চা পাতা ফেলে প্রতিবাদ জানান।
অমরখানা ইউনিয়নের ক্ষুদ্র চা চাষিদের অভিযোগ, স্থানীয় স্যালিলেন টি স্টেট ক্ষুদ্র চাষিদের উদ্বুদ্ধ করে গত বছর থেকে তাদের নিজস্ব চা কারখানায় উৎপাদন শুরু করেন। চলতি মৌসুমে তারা ২৪ টাকা কেজি দরে কাঁচা পাতা কিনেছিল। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ২০ টাকা কেজিতেও চা পাতা কিনছেন না কারখানা মালিকরা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ক্ষুদ্র চা চাষিরা।
স্থানীয় ক্ষুদ্র চা চাষি আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি অন্য ফসল বাদ দিয়ে প্রায় ৭ একর জমিতে চা লাগিয়েছি। নিয়ম অনুযায়ী প্রতি সপ্তাহে চা পাতা তুলতে হয়। কিন্তু বর্তমানে কোন কারখানা চা পাতা কিনছে না। এখন আমরা কি করবো।
অমরখানা ইউপি চেয়ারম্যান ও ক্ষুদ্র চা চাষি মো. নুরুজ্জামান নুরু বলেন, স্যালিলেন টি স্টেট ভূমিহীনদের জমি দখল করে চা বাগান করেছে। তারা কারখানার জন্য কৃষকদের চা চাষে উদ্বুদ্ধ করে এখন চা কিনছে না। চাষিরা তাদের উৎপাদিত চা বিক্রি করতে না পেরে রাস্তায় ফেলে দিচ্ছে। এর একটা সঠিক সমাধান না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
স্যালিলেন টি স্টেটের ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম বলেন, চিটাগাং অকশন মার্কেটে চা বিক্রি করতে না পারায় আমরা অর্থ সংকটে পড়েছি। এছাড়া উৎপাদন বেশি এবং পর্যাপ্ত মজুদ থাকার কারণেও বর্তমানে চা কিনতে পারছি না।
ম্মারকলিপি পাওয়ার কথা স্বীকার করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. গোলাম আজম বলেন, দেশের তৃতীয় চা অঞ্চল হিসেবে পঞ্চগড়ে সরকারি উদ্যোগে একটি চা কারখানা করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া চলমান সংকট নিরসনে চা কারখানা মালিক এবং চা চাষিদের নিয়ে জরুরি বৈঠকের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৬
আরএ