ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কচুরিপানায় রাঙামাটির নৌ যোগাযোগ বিঘ্ন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৬
কচুরিপানায় রাঙামাটির নৌ যোগাযোগ বিঘ্ন বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাঙামাটির কাপ্তাই হৃদে দিনে দিনে বেড়ে ওঠা কচুরিপানা জেলার অভ্যন্তরীণ নৌ যোগাযোগে অন্যতম সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে।

রাঙামাটি: রাঙামাটির কাপ্তাই হৃদে দিনে দিনে বেড়ে ওঠা কচুরিপানা জেলার অভ্যন্তরীণ নৌ যোগাযোগে অন্যতম সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে।

হৃদের পানিতে জন্মানো প্রচুর পরিমাণ কচুরিপানার কারণে বেশিরভাগ নৌ যানগুলোকে চলাচলে সমস্যা পোহাতে হচ্ছে।

এ সমস্যা থেকে উত্তরণে বিভিন্ন মহল নানা সময়ে আলোচনা করলেও সেখানেই সীমাবদ্ধ রয়েছে এ সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ।

কচুরিপানা সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নৌযান মালিকরা বিভিন্ন সময়ে সংশ্লিষ্ট নানা মহলের দ্বারস্থ হলেও কোনো স্থায়ী সমাধান পাননি তারা।

রাঙামাটি সদরের সঙ্গে বাঘাইছড়ি, লংগদু, বিলাইছড়ি, জুড়াইছড়ি, নানিয়ারচর, কাপ্তাই, বরকল উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম নৌপথ। কিন্তু কাপ্তাই হৃদের বিশাল অংশজুড়ে ও বিভিন্ন অংশে প্রচুর পরিমাণে কচুরিপানা থাকায় এসব নৌপথ দিয়ে বোট-লঞ্চে করে মালামাল আনা-নেওয়া কষ্টদায়ক হয়ে পড়েছে। ফলে সহজে ও সময়মতো মালামাল আনা-নেওয়া করতে পারছেন না বিভিন্ন উপজেলার ব্যবসায়ীরা।

কাপ্তাই হৃদের বোট চালক কাদের মিয়ার অভিযোগ, কয়েক বছর ধরেই কচুরিপানার কারণে বোট চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ‍এট‍া  যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিশাল সমস্যা সৃষ্টি করছে, কিন্তু সমাধানের পথ খুঁজে পাইনি।

বরকল থেকে সদরে আসা ব্যবসায়ী হাসান জানান, নৌযানে করে মালামাল রাঙামাটি সদর থেকে নিয়ে যান তারা। কিন্তু কচুরিপানার কারণে বোটে করে মালামাল নিয়ে আসতে-যেতে তাদের ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয়। এতে সময়মতো উপজেলার ঘাটে পৌঁছানো যায় না।

এ ব্যাপারে রাঙামাটি জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম জাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, কচুরিপানা কাপ্তাই হ্রদের নৌপথে দীর্ঘদিনের সমস্যা। এটা সমাধানের জন্য আমরা গত বছর একটি পাইলট প্রকল্প উদ্বোধন করেছিলাম। কিন্তু ওই প্রকল্পে সফল হতে পারিনি।

তিনি আরো বলেন, কচুরিপানা সমস্যার সমাধানে কাপ্তাই হ্রদ ড্রেজিং ও হ্রদ ব্যবস্থাপনার জন্য সঠিকভাবে কাজ করা অনেক খরচের ব্যাপার। এসব কাজের জন্য নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রমনী কান্তি চাকমা বলেন, কচুরিপানা বর্তমানে সমস্যা হলেও, এ সমস্যাকে চাইলে আমরা সম্পদে পরিণত করতে পারি।

তিনি বলেন, কচুরিপানার সমস্যা সমাধানে আমরা বিভিন্ন সময় জেলা পরিষদ এবং জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা করেছি। কচুরিপানাকে আমরা জৈব সারে পরিণত করতে পারি। এজন্য অনেক অর্থের প্রয়োজন। কোনো বেসরকারি সংস্থা উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে এ কাজে অগ্রসর হয় এবং জৈবসার তৈরি করে কৃষকদের মাঝে কম দামে বিতরণ করে তাহলে কিছুটা হলেও এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে।

বেসরকারি পর্যায়ে কোনো উদোক্তা এ ব্যাপারে অগ্রসর হলে তাদের স্বাগত জানানো হবে বলে তিনি জানান।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৬
এসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।