ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মেহেরপুরে শিশু হত্যা দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৬
মেহেরপুরে শিশু হত্যা দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রাধাগোবিন্দপুরের ধলা গ্রামে শিশু ইরান হত্যার দায়ে আহম্মেদ শরিফ ওরফে দিপু (৩০) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

মেহেরপুর: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রাধাগোবিন্দপুরের ধলা গ্রামে শিশু ইরান হত্যার দায়ে আহম্মেদ শরিফ ওরফে দিপু (৩০) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) দুপুর একটার দিকে জনাকীর্ণ আদালতে আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ মো. রবিউল হাসান।

আহমেদ শরীফ ওরফে দিপু রাধাগোবিন্দপুর ধলা গ্রামের মোস্তাক মণ্ডল ওরফে খোকন মণ্ডলের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, গাংনী উপজেলার রাধাগোবিন্দপুর ধলা গ্রামের ইমদাদুল হকের স্ত্রী রেনুকা বেগমের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক ছিল দিপুর। তাদের মধ্যে বাধা হয়ে দাঁড়ায় রেনুকার ছেলে ইরান বাদশা।

এ কারণে ২০১১ সালের ৪ আগস্ট বিকেলে স্থানীয় স্কুল মাঠ থেকে কৌশলে ইরানকে অপহরণ করে দিপু। ওই রাতেই পার্শ্ববর্তী মাঠের পাট খেতে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে ইরানকে।

ওই দিন সন্ধ্যায় গ্রামবাসী সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ করেও ইরানকে কোথাও পায়নি। পরের দিন সকালে দিপু স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পে জানায় ইরানের মরদেহ মাঠের একটি পাট খেতের আইলে পড়ে আছে।

স্থানীয় ধলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মকবুল হোসেন ইরান বাদশার মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় দিপুর অসংলগ্ন কথাবার্তা শুনে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

ওই দিনই ইরানের চাচা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে গাংনী থানায় ৩৩৪/৩০২ ধারায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার নং ৫, তারিখ ৪/০৮/১১ ইং। যার সেসন মামলার নং ৮৬/১১ ইং ও গাংনী থানার সিআর মামলা নং ৪২৯/১১ ইং।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দিপুকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার দায় স্বীকার করেন তিনি। ৭ আগস্ট ১৬৪ ধারায় স্বীকারক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় দিপু। ২৪ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মকবুল হোসেন চার্জশিট জমা দেন।
 
মামলায় ৩৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রবিউল হাসান আসামি আহম্মেদ শরিফ দিপুকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট পল্লব ভট্টাচার্য ও আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. কামরুল হাসান।

স্থানীয়রা জানায়, গ্রেফতারের পর দিপু জামিনে ছিলেন। কিছুদিন পরে তিনি ভারতে চলে যান। বর্তমানে সেখানে বসবাস করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৬
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।