সাতক্ষীরা: “আমরা বাড়ির পাশ থেকে কচু শাক তুলে খেতাম, কলার মুচা খেয়ে বড় হয়েছি। কিন্তু আজ সেগুলো আর দেখা যায় না।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বেলা ১২টায় সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজে প্রকৃতি ও পুষ্টির গল্পের আসরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ম. হাসান সোহরাওয়ার্দী এসব কথা বলেন।
‘এসো প্রকৃতিকে জানি, পুষ্টির গল্প শুনি’ শীর্ষক এ গল্পের আসরের আয়োজন করে বারসিক ইনস্টিটিউট অব অ্যাপ্লাইড স্ট্যাডিজ এবং সাতক্ষীরা শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিম।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- ওই কলেজের শিক্ষক পর্ষদ সম্পাদক শেখ জাহাঙ্গীর আলী, প্রভাষক ওলিউর রহমান, গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী শাহীন ইসলাম, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিমের আহ্বায়ক আসাদুল ইসলাম, সদস্য সাইদুর রহমান, ফজলুল হক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রকৃতিতে প্রাপ্ত শাক, লতা-পাতার পুষ্টিগুণ তুলে ধরেন পুষ্টির ফেরিওয়ালা খ্যাত যুব উদ্যোক্তা রুহুল কুদ্দুস ও বাবর আলী।
তারা একে একে শাপলা, থানকুনি, কলমি, বন কচু, পেপুল, সাঞ্চি, বেতশাক, কলার মোচা, ডুমুর, বউটুনি, ঘ্যাটকল, ব্রাহ্মি শাক, তেলাকচু, হেলাঞ্চসহ নানা প্রজাতির অচাষকৃত শাক ও লতা-পাতার পুষ্টিগুণ তুলে ধরে বাড়ির আশেপাশে এগুলো সংরক্ষণ ও ব্যবহারের আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৬
এসআই