ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালপল্লীতে গণশুনানি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৬
গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালপল্লীতে গণশুনানি ছবি-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রংপুর চিনিকলের আওতাধীন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারের জমিতে আখ কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় ক্ষতিপূরণ ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গাইবান্ধা: রংপুর চিনিকলের আওতাধীন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারের জমিতে আখ কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় ক্ষতিপূরণ ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর দেড়টায় এ গণশুনানি শেষ হয়।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আয়োজনে সাঁওতাল অধ্যুষিত মাদারপুর মিশন গির্জার সামনে এ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

শুনানিতে ক্ষতিগ্রস্ত ৬ সাঁওতাল রাফায়েল হাসদা, বারনা টুডু, রিনা মাইতি, কৃষ্ণ মুরমু, ববিতা মুরমু ও বারনা মুরমুর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

শুনানিতে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুলের নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের দলে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক বিচারপতি মো. শামছুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. বায়েজিদ আব্বাস, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ মাহবুবুর রশিদ, কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী প্রমুখ।

এছাড়াও ছিলেন, সংগঠনের গাইবান্ধা জেলা শাখার আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুল হক শাহজাদা, সদস্য সচিব আমিনুর জামান রিংকু, রংপুরের সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক সরকার এবং রংপুর বিভাগীয় কমিটির সদস্য মুশফিক রাজ্জাক প্রমুখ।

শুনানি শেষে কমিটির নেতারা সাঁওতালদের ওপর নির্যাতনের বিচার ও ক্ষতিপূরণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।

গণশুনানি শেষে সংগঠনের উপদেষ্টা সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, শুনানির পরিপ্রেক্ষিতে একটি প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৬
এসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।