ঢাকা: সাভারের আশুলিয়া গ্যাস লাইটার কারখানার আগুনে দগ্ধ শ্রমিকদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি থাকা সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান প্রফেসর আবুল কালাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত আমরা ২১ জন দগ্ধ শ্রমিককে পেয়েছি। এদের সবারই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। একে আমরা মেজর বার্ন বলি। ’
তিনি বলেন, ‘রোগীদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭০ শতাশং ও সর্বনিম্ন ২০ শতাংশ পুড়ে গেছে। কয়েকজনকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হচ্ছে। ’
এক প্রশ্নে জবাবে প্রফেসর আবুল কালাম বলেন, ‘চিকিৎসার কোনো ত্রুটি হচ্ছে না। বার্ন ইউনিটের জরুরি বিভাগে তাৎক্ষণিকভাবে ৫০ জন রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার প্রস্তুতি থাকে। ’
এ সময় ঢামেক হাসপাতালের উপ পরিচালক খাজা আব্দুল গফুর উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, হাসপাতাল সূত্র জানায়, আগুনে দগ্ধসহ মোট ৩৯ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ২০ জনকে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন- এরা হলেন, জলি (৩০), মুক্তি আক্তার (১৮), হালিমা (২৫), ফাতেমা (১৫), নাজমা (১৭), রিনা (২০), মেহেরা (৩০), খাদিজা (১৪), আঁখি (১৪), সোনিয়া (১৬), শিমু (২৫), হাফিজা (১৬), মাহমুদা (২৬), লাভলী (১৫), সখিনা (২৬), শরীফা (২২), সোনিয়া (১৬), ফারজানা (১৬), জান্নাতি (২০) ও জাকিয়া (১৯)।
বাকিদের সাভারের এনাম মেডিকেলসহ স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঢামেকের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন মুক্তি আকতার (১৪) বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ওই কারখানার একটি রুমে ৪০ থেকে ৫০ জন নারী শ্রমিক পুরাতন গ্যাস লাইটার থেকে গ্যাস বের করার কাজ করছিলাম। হঠাৎ আগুন লেগে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৬
এজেডএস/জিপি/এসআর
** আশুলিয়ায় দগ্ধ ২০ জন ঢামেকের বার্ন ইউনিটে
** আশুলিয়ায় দগ্ধদের মধ্যে ৫ জন এনাম মেডিকেলে ভর্তি
** আশুলিয়ায় দগ্ধদের চিকিৎসার্থে ১ লাখ টাকা অনুদান
** আশুলিয়ায় গ্যাস লাইটার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
** আশুলিয়ায় গ্যাস লাইটার কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহত ৩৯