রাজশাহী: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসন সরকারি নীতিমালা ও বিধি-বিধান উপেক্ষা করে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তির সুযোগ না রাখায় রাজশাহীতে মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে কোটা সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রাজশাহী জেলা ও মহানগর ইউনিট।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রাজশাহী জেলা ও মহানগর ইউনিট কমান্ড আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ক্ষোভ ও দাবি জানানো হয়।
দাবি মানা না হলে ডিসেম্বর মাস থেকে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভা, স্মারকলিপি প্রদান, প্রতীকী অনশন ও আইনের আশ্রয় গ্রহণসহ কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন মুক্তিযোদ্ধা নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহানগর ইউনিট কমান্ডার ডা. মো. আব্দুল মান্নান।
এতে উল্লেখ করে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারিভাবে মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও সন্তানদের সন্তানকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, চাকরিসহ নানা সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার নীতি নির্ধারণ করেছেন। অথচ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবহেলা ও নিরবতা অবলম্বন করে মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সরকারি গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি স্বায়ত্বশাসিত, আধাস্বায়ত্বশাসিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনির ভর্তির সুযোগ দেওয়ার বিধান রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ দাবি পূরণ না করায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রাজশাহী জেলা ও মহানগর কমান্ডের পক্ষ থেকে লিখিত আবেদন করা হয়।
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো সাড়া দেয়নি। পরে গত ১৭ নভেম্বর মহানগর ও জেলা ইউনিট কমান্ডের নেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। উপাচার্য কোনো ইতিবাচক সিদ্ধান্তের আশ্বাস না দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নাতি-নাতনিদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা উপেক্ষা করে অনড় অবস্থান গ্রহণ করছে।
এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা ও মহানগর ইউনিট কমান্ডের পক্ষ থেকে গভীর ক্ষোভ ও নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়। এছাড়া অবিলম্বে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের ভর্তি কোটায় সুযোগ দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানান নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রাজশাহী জেলা ইউনিট কমান্ডের কমান্ডার ফরহাদ আলী মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন প্রমানিক, মোহাম্মদ আলী কামাল, রবিউল ইসলাম, অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু, লুৎফর রহমান, সাইদুল ইসলাম ও আবুল বাসার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৬
এসএস/জেডএস