ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কওমী সনদের স্বীকৃতি চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আহমদ শফীর চিঠি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৬
কওমী সনদের স্বীকৃতি চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আহমদ শফীর চিঠি

নিঃশর্তে কওমী মাদরাসার শিক্ষা সনদের সরকারি স্বীকৃতি চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি দিয়েছেন বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের (বেফাক) সভাপতি ও আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী।

ঢাকা: নিঃশর্তে কওমী মাদরাসার শিক্ষা সনদের সরকারি স্বীকৃতি চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি দিয়েছেন বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের (বেফাক) সভাপতি ও আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী।

বুধবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে বেফাকের একটি প্রতিনিধি দল আহমদ শফীর এ চিঠি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেন।

 

বেফাকের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আশরাফ আলীর নেতৃত্বে ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, সহ-সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা নূরুল ইসলাম, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, মুফতি নুরুল আমিন, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা মুনির আহমদ ও মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম।

প্রতিনিধি দল সূত্র জানায়, চিঠি দিতে যাওয়‍া প্রতিনিধি দলটি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে। এসময় আহমদ শফীর ছেলে হাটহাজারী মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা আনাস মাদানী চিঠিটি প্রধানমন্ত্রীকে পড়ে শোনান।

সূত্র মতে, চিঠিতে আওয়ামী লীগের বিগত সরকারের শেষ দিকে হেফাজত গঠন করে সরকারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া আহমদ শফী প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং তার পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রশংসা করেন।

ওই চিঠির একটি কপি বাংলানিউজের কাছে রয়েছে।

চিঠিতে আহমদ শফী কওমী মাদরাসা সনদের স্বীকৃতি দিতে সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানান। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, “আপনার সরকার বাংলাদেশের কওমী মাদরাসাসমূহের সনদের সরকারি স্বীকৃতির যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা অবশ্যই ইতিবাচক এবং অভিনন্দযোগ্য। আমরা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। আমরা কওমী মাদরাসা সনদের সরকারি মান চাই, তবে তা নিঃশর্ত হতে হবে। ”

আহমদ শফী বলেন, “কওমী মাদরাসাসমূহ পথনির্দেশিকা হিসেবে দারুল উলূম দেওবন্দের আট মূলনীতি অনুসরণ করে চলে। দেওবন্দের ৮ মূলনীতির ৭ নম্বর মূলনীতি হলো এর পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় সরকারের অংশীদারিত্ব ক্ষতিকর। সুতরাং সরকারের কোনো প্রকার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে আমাদের শিক্ষা সনদের মান দিলে তা এই মূলনীতির সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক হয়ে দাঁড়াবে। ”

হেফাজতের এ নেতা আর কখনো রাজনৈতিক কারণে সরকারবিরোধী আন্দোলনে জড়িত হবেন না জানিয়ে চিঠিতে বলেন, “দেওবন্দী নীতি-আদর্শের কঠোর অনুসরণের ফলে কওমী মাদ্রাসাসমূহ রাজনৈতিক কারণে সরকারবিরোধী কোনো আন্দোলন ও তৎপরতা থেকে সবসময় দূরে থাকে এবং ভবিষ্যতেও এমন কোনো কিছুতে জড়িত হওয়ার আশঙ্কা নেই। ”

তিনি চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীকে জানান, কওমী মাদরাসাসমূহের শিক্ষাক্রমসহ সকল কার্যক্রমই উন্মুক্ত। সরকারি-বেসরকারি যেকেউ যেকোনো সময় তা অবলোকন করতে পারেন।

প্রতিনিধি দল সূত্র জানায়, চিঠি পড়ে শোনানোর পর কওমী মাদরাসার সরকারি স্বীকৃতি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সবাইকে এক করতে আহমদ শফীর প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ সময়: ০৩৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৬
এমইউএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।