ঢাকা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে (ডিএসসিসি) যুক্ত হওয়া বিলুপ্ত আটটি ইউনিয়নে লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া। সিটি কর্পোরেশনের আওতায় এলেও সেগুলোতে এখনও ইউনিয়নের ছাপ।
তবে সদ্য বিলুপ্ত ইউনিয়ন শ্যামপুর, মাতুয়াইল, দনিয়া, সারুলিয়া, নাসিরাবাদ, মান্ডা, দক্ষিণগাঁও ও ডেমরাকে আলোকিত করার উদ্যোগ নিয়েছে ডিএসসিসি।
এ লক্ষ্যে ১৪৩ দশমিক ৪৭ কিলোমিটার রাস্তায় এলইডি স্ট্রিট লাইট স্থাপন করা হবে।
অন্তর্ভূক্তির ফলে ২৮ দশমিক ৭০ বর্গকিলোমিটার নতুন এলাকা নগর হিসেবে ডিএসসিসি’র আওতায় এসেছে। ঘনবসতিপূর্ণ এসব এলাকায় ১০ লাখ মানুষের বসবাস।
ডিএসসিসি’র তথ্যে দেখা গেছে, সিটি কর্পোরেশনে যুক্ত হলেও এখনও ইউনিয়নের ছাপ দৃশ্যমান নতুন সংযুক্ত এলাকাগুলোতে। জনগণের জন্য বর্তমান নাগরিক সুবিধাও আগের মতোই। নিরাপদে চলাচলের ব্যবস্থা নেই। পরিবেশগত ও আর্থ-সামাজিক অবস্থাও আগের ইউনিয়ন পরিষদের মতো।
ড্রেনেজ সুবিধা না থাকায় বর্ষাকালে এসব এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে পানিতে তলিয়ে যায়। আবার আগের মতোই প্রাকৃতিক খালের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশন করা হয়।
বর্ষায় পাকা ও আধা পাকা সড়কগুলো তলিয়ে যাওয়ার কারণে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। এমনকি সড়কে নেই সড়ক বাতি, অন্ধকারেই থাকে এসব জনবহুল এলাকা।
তবে একটি প্রকল্পের আওতায় এসব এলাকায় ছয় কিলোমিটার ফুটপাতের উন্নয়ন, সড়কে এলইডি লাইট স্থাপন এবং সৌন্দর্য বর্ধনে ১০ হাজার ৫৪৩টি বৃক্ষরোপণ করা হবে। মোট ১৪৩ দশমিক ৪৭ কিলোমিটার সড়ক ও ১৫৭ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার ড্রেনেজের উন্নয়ন করা হবে। ডিএসসিসি’র পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মোট ব্যয় করা হবে ৭৪০ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
চলতি সময় থেকে শুরু করে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই উন্নয়নমূলক কাজগুলো বাস্তবায়ন করতে চায় ডিএসসিসি। কিন্তু অর্থের অভাবে এখনও সেভাবে সামনের দিকে অগ্রসর হতে পারছে না ।
ডিএসসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিল্লাল বাংলানিউজকে বলেন, ‘আটটি ইউনিয়ন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভূক্ত হলেও আমরা সেভাবে নাগরিক সুবিধা দিতে পারিনি। এসব এলাকার রাস্তা-ঘাট, ড্রেনেজ, ফুটপাতের উন্নয়ন হয়নি। মশা নিধনের কাজও এখনও শুরু হয়নি। এসব এলাকার সড়কে এলইডি লাইটও বসাতে পারিনি’।
তিনি বলেন, ‘তবে নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা উদ্যোগ নিচ্ছি। যদিও তা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে’।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৬৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৬
এমআইএস/এএসআর