ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মায়ের সঙ্গে শেষ কথা বলেই মারা গেলেন রোকসানা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৬
মায়ের সঙ্গে শেষ কথা বলেই মারা গেলেন রোকসানা

আশুলিয়ার গ্যাস লাইটার কারখানায় অগ্নিদগ্ধ রোকসানা আক্তার রকি (১৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে দশটার দিকে আইসিইউতে রকির...

ঢাকা: আশুলিয়ার গ্যাস লাইটার কারখানায় অগ্নিদগ্ধ রোকসানা আক্তার রকি (১৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে দশটার দিকে আইসিইউতে রকির মৃত্যু হয় বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন ড. পার্থ শংকর পাল।

মাকে দেখার প্রতীক্ষায় ছিলেন এই নারী শ্রমিক। বৃহস্পতিবার ভোররাতে গ্রামের বাড়ি থেকে হাসপাতালে আসেন তার মা জুলেখা বেগম। মায়ের সঙ্গে শেষ কথা বল‍ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ৭০ শতাংশ বার্ন ইনজুরিতে থাকা রকি।

নিহত রকি বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার বালিয়াদিঘি গ্রামের মৃত তোরাব আলীর মেয়ে।

বড় ভাই ঢাকার উত্তরার একটি ছোট কোম্পানিতে কর্মরত জুলফিকার রহমান জনি ঢামেক হাসপাতালে বুধবার (২৩ নভেম্বর) বাংলানিউজকে জানিয়েছিলেন, তার বোন বার্ন ইউনিটের আইসিউতে যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে কেবলই মাকে খুঁজছিলেন। গ্রামের বাড়িতে থাকা তাদের মাকে খবর দেওয়া হয়েছে, তিনি আসছেন বলেও জানিয়েছিলেন জনি।

বৃহস্পতিবার জনি জানান, ভোররাতে রকির বড় বোন তাসলিমাকে নিয়ে ঢাকায় এসে নামেন তাদের মা। তিনি আইসিইউতে ঢুকলে কয়েকটি কথা বলেছিলেন রকি।

শেষ দেখা ও শেষ কথা বলার কয়েক ঘণ্টা পরে তাদের সামনেই রকি মারা যান বলেও জানান বড় ভাই জনি।

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় কালার ম্যাচ বিডি লিমিটেড নামে ওই কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধসহ মোট ৩৯ জন আহত হন। তাদের মধ্যে ২০ জন নারী শ্রমিককে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসা হলে ওইদিন মধ্যরাতে আঁখি (১৩) নামে এক শিশু শ্রমিক মারা যায়। বর্তমানে হাসপাতালে আরও ১৮ জন নারী শ্রমিক চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকিদের এনাম মেডিকেলসহ স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৬
এজেডএস/ওএইচ/এএসআর

**  মায়ের প্রতীক্ষায় কাতরাচ্ছেন আশুলিয়ায় দগ্ধ রোকসানা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।