ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

তাজরীনে হতাহতদের ক্ষতিপূরণ ও দোষীদের শাস্তি দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৬
তাজরীনে হতাহতদের ক্ষতিপূরণ ও দোষীদের শাস্তি দাবি

তাজরীন গার্মেন্টে অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক শ্রমিকের হতাহতের ঘটনার ৪ বছর পেরিয়ে গেলেও ক্ষতিগ্রস্তরা প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ পাননি জানিয়ে দোষীদের যথাযথ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির নেতারা।

ঢাকা: তাজরীন গার্মেন্টে অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক শ্রমিকের হতাহতের ঘটনার ৪ বছর পেরিয়ে গেলেও ক্ষতিগ্রস্তরা প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ পাননি জানিয়ে দোষীদের যথাযথ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির নেতারা।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে আশুলিয়ার নরসিংহপুরের নিশ্চিন্তপুরে তাজরীন ও রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিহত শ্রমিকদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে সংগঠনটি।

শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় আশুলিয়া শাখার সভাপ্রধান আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপ্রধান তাসলিমা আখ্‌তার, কেন্দ্রীয় নেতা নুরুল ইসলাম।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন তাজরীন গার্মেন্টের আহত শ্রমিক ও রানা প্লাজায় নিহত শ্রমিক পরিবারের সদস্যরা।

সমাবেশ শেষে নেতৃবৃন্দ পাশ্ববর্তী অঞ্চলে তাজরীনের নিহত শ্রমিক পরিবারগুলোর মধ্যে নজরুল ইসলাম, আমেনা বেগম, নয়ন মিয়া, মনিরা খাতুন, আয়নাল হকসহ বিভিন্নজনের বাড়িতে যান এবং আহত শ্রমিকদের সাথেও দেখা করে সমবেদনা জানান।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, শত শ্রমিকের প্রাণ ও স্বপ্ন আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে তাজরীন গার্মেন্টে। ৪ বছর পার হলেও এখনও তাজরীনের মালিক দোষী দেলোয়ারসহ অন্যান্যদের শাস্তি নিশ্চিত হয়নি। উল্টো সে জামিনে হাজতের বাইরে। সরকার নিজেকে শ্রমিকবান্ধব বললেও তাজরীনের মালিক শাস্তির আওতার বাইরে থাকাই প্রমাণ করে, এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধে সরকার আন্তরিক না।

বক্তারা আরও বলেন, তাজরীনের ঘটনার পর রানা প্লাজায় হাজারো শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছে, জনগণ আশা করেছিলো সরকার শ্রম আইন বদল করবে এবং দোষীদের দৃষ্টন্তমূলক কঠোর শাস্তি দেবে। কিন্তু শ্রম আইনে ক্ষতিপূরণ ও দোষীদের যথাযথ শাস্তির প্রসঙ্গটি পরিবর্তিত ও জোরদার হয়নি। দোষীরা এখনও যথাযথ শাস্তি পায়নি।

ক্ষতিপূরণ শ্রমিকদের অধিকার, ভিক্ষা নয়- উল্লেখ করে শ্রমিক নেতারা বলেন, শক্তিশালী শ্রমিক আন্দোলনই পারে শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। সংগঠন এবং সংগ্রাম ছাড়া শ্রমিকদের কোনো অধিকারই আদায় হবার নয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৬
পিআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।