ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দেশে প্রথম ‘ কিশোরী সুরক্ষা কার্ড’ পেলো দাকোপের কিশোরীরা

ব্যুরো এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৬
দেশে প্রথম ‘ কিশোরী সুরক্ষা কার্ড’ পেলো দাকোপের কিশোরীরা ছবি:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বাল্যবিয়ে বন্ধ হওয়ায় দেশে প্রথম ‘কিশোরী সুরক্ষা কার্ড’ পেলো খুলনার দাকোপ উপজেলার কিশোরীরা।

খুলনা: বাল্যবিয়ে বন্ধ হওয়ায় দেশে প্রথম ‘কিশোরী সুরক্ষা কার্ড’ পেলো খুলনার দাকোপ উপজেলার কিশোরীরা।

একই সঙ্গে চালনা পৌরসভাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাল্যবিয়ে মুক্ত পৌরসভা ঘোষণা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে চালনা পৌরসভা মিলনায়তনে এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে পৌরসভার মেয়র সন‍ৎ কুমার বিশ্বাস সভাপতিত্ব করেন। প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন দাকোপ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আবুল হোসেন, দাকোপ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মৃণাল কান্তি দে, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নার্গিস ফাতেমা জামিন ও রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার গুহ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, শুধু বাল্যবিয়ে মুক্ত পৌরসভা ঘোষণা করে থেমে গেলেই হবে না, যাতে এ পৌরসভার একটি শিশুরও বিয়ে না হতে পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থেকে দায়িত্ব পালন করে যেতে হবে।

**শিশু সুরক্ষা কার্ডের প্রচলন হচ্ছে খুলনার দাকোপে

এর আগে দাকোপ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কিশোরীদের বৃত্তির চেক হস্তান্তর করা হয়। বাল্যবিয়ের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ মোট ৯৭ জন কিশোরীকে ১৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। এ টাকা দিয়ে তারা স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য নিজ নিজ উদ্যোগে আয়করী প্রকল্প গ্রহণ করবে।

জানা যায়, বাংলাদেশে অন্যতম বাল্যবিয়ে প্রবণ দাকোপ উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে অনূর্ধ্ব ১৮ বছর বয়সী পর্যন্ত অধ্যয়নরত, কর্মজীবী ও ঝরে পড়া সব কিশোরীকে ‘কিশোরী সুরক্ষা কার্ড’ দেওয়া হচ্ছে। কিশোরী সুরক্ষা কার্ডে কিশোরীর নাম, রঙিন ছবি তার জন্ম তারিখ, জন্ম নিবন্ধন নম্বর, মায়ের নাম, বাবার নাম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম এবং ঠিকানা দেওয়া থাকছে।

এখন থেকে দাকোপে কোনো কিশোরীকে বিয়ে দিতে হলে ওই কার্ড প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। বাংলাদেশে কিশোরী সুরক্ষা কার্ডের এমন উদ্যোগ এটাই প্রথম।

দাকোপ উপজেলার সর্বমোট ৫৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজ) এবং কর্মজীবী ও ঝরে পড়া ছয় হাজার তিনশ’ ছয়জন কিশোরীর ডাটাবেজ তৈরি করা হয়। পর্যায়ক্রমে তাদের মধ্যে কিশোরী সুরক্ষা কার্ড বিতরণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৬

এমআরএম/এএটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।