সৈয়দপুর (নীলফামারী): নীলফামারীর সৈয়দপুরে ঐতিহ্যবাহী সুগন্ধি কাটারিভোগ ধান বিশেষ পদ্ধতিতে চাষ করে রেকর্ড পরিমাণ ফলন পাওয়া গেছে।
যেখানে সনাতন পদ্ধতিতে বিঘাপ্রতি অন্য ধান চাষ করে ফলন পাওয়া যেতো ৫ থেকে ৬ মণ, সেখানে বিশেষ পদ্ধতিতে চাষ করে একই জমিতে ফলন পাওয়া গেছে সাড়ে ১০ মণ।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের অসুরখাই গ্রামে কৃষক আহসান-উল-হক বাবুর খেতে এ ফলন পাওয়া যায়।
এ উপলক্ষে দুপুরে এক মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়। এতে এক্সিলারেটিং এগ্রিকালচার প্রোডাক্টটিভিটি ইমপ্রুভড প্রকল্পের কৃষি বিশেষজ্ঞ ড. শাহরুখ আহমেদ, মৃত্তিকা বিজ্ঞানী মঈনুল আহসান, নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক গোলাম মো. ইদ্রিস, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (ব্রি) রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ শীলা প্রামাণিক, সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ইউএও) কৃষিবিদ মোছা. হোমায়রা মণ্ডল, কামারপুকুর ইউপির সংশ্লিষ্ট কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব দাস ও আসাদুজ্জামান আশা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সচরাচর ধান চারা রোপণের সময় জমি সমতল এবং ৩/৪ ইঞ্চি পানি জমিয়ে রাখা হয়। কিন্তু বিশেষ পদ্ধতিতে কাটারিভোগ ধান চাষে তার পরিবর্তে মূল জমিতে রেইজড বেড অ্যান্ড ফারো পদ্ধতিতে অর্থাৎ, আলু চাষের সময় দু’পাশ থেকে যেমন মাটি তুলে উঁচু বেড তৈরি করা হয় তেমনই কাটারিভোগ ধান চারা রোপণের আগে উঁচু বেড তৈরি করে নেওয়া হয়। ওই বেডের মধ্যে নির্দিষ্ট দূরে মাত্র একটি করে ধানের চারা রোপণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৬
এজি/এএ