ঢাকা: গ্যাস সংকটে রাজধানীর মিরপুর ১৩ নম্বর ও ১০ নম্বরের কয়েকটি এলাকার বাসা-বাড়িতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বাসিন্দারা।
তারা জানান, দিনের অধিকাংশ সময় গ্যাস একেবারেই থাকে না।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, এসব এলাকার প্রায় প্রতিটি বাসা-বাড়িতে গ্যাসের সমস্যা।
মিরপুর ১৩ নম্বরের বি ব্লকের ২ নম্বর রোডের ১৭ নম্বর বাড়ির পঞ্চম তলায় মোহাম্মদ রিপনের বাসায় দেখা গেছে, গ্যাসের চাপ এতো কম যে, তা দিয়ে রান্না সম্ভব নয়।
রিপন বাংলানিউজকে বলেন, দিনের অধিকাংশ সময় গ্যাস থাকে না।
তার স্ত্রী শারমিন আক্তার জানান, প্রতিদিন ভোর ৫টার পর থেকে গ্যাসের চাপ কমতে থাকে। সাড়ে ৫টা, ৬টার দিকে গ্যাস পুরোপুরি চলে যায়।
তিনি বলেন, দুপুরের পর কখনো কখনো গ্যাস আসে। কিন্তু অধিকাংশ সময়ই গ্যাসের চাপ খুবই কম থাকে। বিকেল বা সন্ধ্যার আগে আবার গ্যাস চলে যায়।
সাধারণত রাত ১০টা, ১১টার পর গ্যাস আসে এবং ভোররাতের দিকে গ্যাসের চাপ ভালো থাকে বলেও জানান তিনি।
শারমিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রতিদিন ভোররাত সাড়ে তিনটা থেকে চারটার দিকে একসঙ্গে পুরো দিনের খাবার রান্না করে ফ্রিজে রাখি। গ্যাসের অভাবে বেশিরভাগ সময়ই ফ্রিজের ঠাণ্ডা খাবার খেতে হয়’।
মোহাম্মদ রিপন বলেন, অনেক সময় ভোররাতে উঠতে না পারলে কিংবা সে সময়ও গ্যাসের চাপ কম থাকলে রান্না হয় না। পাউরুটি-কলা, বিস্কুট, মুড়ি খেয়ে থাকতে হয়।
মিরপুর ১৩ নম্বরের বাইশটেকি এলাকার হাজী আলী হোসেন রোডের ২৩ নম্বর বাড়ির হাছিনা জাহানও তার বাসায় গ্যাস সংকটের কথা জানান।
টিনশেড কলোনির ২ নম্বর রোডের ৯১ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা সাকিরুল ইসলাম কিরণ গ্যাস সংকটের কথা জানিয়ে বলেন, ‘সকালের পরই গ্যাস থাকে না। দুপুরের পর একটু আসে, আবার চলে যায়, রাতের দিকে আবার গ্যাস আসে’।
কিরণ বলেন, ‘গ্যাসের দাম বেড়েছে। কিন্তু ঠিকমতো গ্যাস পাই না’।
তিনি বলেন, ‘লাইনে গ্যাসের অপচয় ঠেকাতে মিটার বসাতে পারে। কিন্তু এভাবে গ্যাস না দিয়ে মানুষকে কষ্ট দেওয়া ঠিক না’।
মিরপুর ১০ নম্বরের আমতলা এলাকার ৫০০/১ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা হামিদা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, ‘গ্যাস প্রচুর ডিস্টার্ব করে। রান্না করতে অনেক সমস্যা। অনেক সময় খেয়ে না খেয়ে থাকতে হয়’।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৬
এমইউএম/এএসআর