ঢাকা: সপ্তাহকাল ধরে চলা ভয়াবহ দাবানলে ইসরায়েলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হাইফা এখন হুমকির মুখে। নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া দাবানলটি এখন শহরটির বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।
বিবিসি জানায়, দাবানলে সর্বস্ব হারিয়ে হাজার হাজার মানুষ প্রাণভয়ে হাইফা শহর ছেড়ে পালাচ্ছে। এরই মধ্যে ঝুঁকির মধ্যে থাকা কয়েক হাজার মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। হাইফা ছাড়াও নেভে শালোম ও অন্যান্য এলাকায় বিভিন্ন রাস্তাঘাট ও স্কুল কলেজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
দাবানলের কারণে পাশ্ববর্তী শহর জেরুসালেম ও পশ্চিমতীরের কাছের লোকালয়গুলোও এখন হুমকির মুখে। ভয়াবহ এই দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনা না গেলে তা আরও বিস্তৃত এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রবল।
রুশ বার্তা সংস্থা স্পুৎনিক জানায়, দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রাশিয়ার কাছে জলবাহী উভচর বিমান পাঠানোর অনুরোধ করার পর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুটো উভচর বিমান পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছেন।
ইসরায়েলি পুলিশ বাহিনির প্রধান রোনি আলশ্আইখ ধারণা করছেন এই দাবানল মানবসৃষ্ট। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ বলে অভিহিত করেছেন।
হারেৎস্ (Haaretz ) পত্রিকাকে নেতানিয়াহু বলেন, " যে বা যারাই ইসরায়েলি রাষ্ট্রের একাংশকে আগুনে পুড়িয়ে দিয়ে ফায়দা লুটতে চাইছে তাদেরকে কঠিন শাস্তি পেতে হবে। ’’
এদিকে ইসরায়েলের কট্টরপন্থি শিক্ষামন্ত্রী নেফতালি বেন্নেত দাবি করেছেন, আরব অথবা ফিলিস্তিনিরাই লাগিয়েছে এই দাবানল। তিনি এক টুইটার বার্তায় লিখেছেন: ‘ইসরায়েলকে যারা নিজেদের দেশ বলে মনে করে না, ইসরায়েলকে আগুনে পুড়িয়ে দেবার অপকর্ম কেবল তাদের পক্ষেই সম্ভব। ’’
তবে তিনি তার দাবির পক্ষে কোনো যুক্তি তুলে ধরেননি। ইসরায়েলের সর্বত্র গত দু’মাস ধরে খরার চলছিল। খরার পর সৃষ্ট এই দাবানল এখন ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দেখা দিয়েছে। হাইফা শহরের উত্তর থেকে প্রবাহিত প্রবল বাতাসের কারণে দাবানলটি এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি সহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।
দাবানল সৃষ্টির জন্য এরই মধ্যে চারজন ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৬
জেএম/