ঢাকা: রোড ডিভাইডারের মাঝে কিছু দূর পর পরই ল্যাম্প পোস্ট। ল্যাম্প পোস্টের দুই ডানা থেকে ঝরছে সাদা আলো।
এয়ারপোর্ট রোডে এমন সারি সারি বাতি রাতের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ। এটি হবে বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল সড়ক।
সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের নির্দেশনায় ‘ভিনাইল ওয়ার্ল্ড গ্রুপ’ নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে এয়ারপোর্ট রোডটিতে বর্তমানে চলছে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ।
এরই মধ্যে এমইএস এলাকা থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত রোডটি ফুটে উঠেছে সাদা ও লাল আলোয়। রোডের দু’পাশে চলছে ফুটপাত, ওয়াকওয়ে নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য কাজ।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে এই রোডে দেখা গেল, সাদা আলোর সঙ্গে ল্যাম্প পোস্টের লাল আলো এবং এই রোডে চলাচল করা গাড়িগুলোর বাতি কুয়াশাচ্ছন্ন রোডকে দিয়েছে এক অপরূপ রূপ।
এ রোডের সৌন্দর্য বর্ধনের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে স্মৃতিস্তম্ভ, ঝরণা ধারা, অত্যাধুনিক ডিজিটাল যাত্রী ছাউনিও তৈরি করা হচ্ছে।
মধ্যরাতে শেওড়া এলাকায় কথা হয় ‘ভিনাইল ওয়ার্ল্ড’র সিইও আবেদ মনসুরের সঙ্গে।
তিনি বললেন, রোডের দু’পাশে আনুষঙ্গিক সব সুবিধাসহ ১২টি আরএইচডি (সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর) সার্ভিস সেন্টার, ফ্রি ওয়াইফাই, ডিজিটাল যাত্রী ছাউনি, সেন্সর সিস্টেম ডাস্টবিন এবং উন্নত দেশের মতো কয়েন দিয়ে কোক-স্নাকস কেনার ব্যবস্থাও রাখা হবে। এছাড়াও ডিজিটাল স্ক্রিন এবং এটিএম বুথ।
আগামী এপ্রিল-মে’র মধ্যে পুরো কাজ শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল এই সড়কের উদ্বোধনের সম্মতি দিয়েছেন, জানালেন আবেদ মনসুর।
তিনি আরও জানালেন, উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ শুরু করা হয়েছে। আর তার রক্ষণাবেক্ষণে প্রতিবছরে ব্যয় হবে পাঁচ কোটি টাকা। আগামী ১০ বছর রক্ষণাবেক্ষণ করবে ভিনাইল ওয়ার্ল্ড। অর্থাৎ সব মিলে প্রায় ১৪০ কোটি টাকা ব্যয় করবে ভিনাইল ওয়ার্ল্ড।
উদ্বোধন শেষে ১০ বছর সরকার শুধু রোডের পিচ ঢালার কাজ করবে জানিয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধান জানালেন, বাকি কাজগুলোসহ রক্ষণাবেক্ষণ করবো আমরা। বিনিময়ে ভিনাইল ওয়ার্ল্ড ডিজিটাল স্ক্রিনে কিছু বিজ্ঞাপন প্রচার করবে বলে জানালেন প্রতিষ্ঠানের সিইও মনসুর।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৬/আপডেট: ১১১৩ ঘণ্টা
এমআইএইচ/আরআইএস/এমজেএফ