ঢাকা: সাভারের আশুলিয়ার জিরাবো এলাকার কালার ম্যাচ বিডি লিমিটেড কারখানায় বিস্ফোরণে দগ্ধদের আর্তনাদ ছড়িয়ে পড়েছে ঢামেক বার্ন ইউনিট জুড়ে। বার্ন ইউনিটে বিভিন্ন রোগীর সঙ্গে আসা আত্মীয়রাও যেন তাদের কষ্ট আর সইতে পারছেন না।
বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ওই কারখানার দগ্ধ ১৮ জন নারী শ্রমিক চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে ৪ জন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে, ৪ জন এইচডিইউ (হাইডিপেনডেন্সি ইউনিট), ৪ জন অবজারভেশন ওয়ার্ডে ও ৬ জন পোস্ট অপারেটিভ বিভাগে ভর্তি রয়েছেন।
এর আগে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ ১৩ বছরের আঁখি গত মঙ্গলবার এবং বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) মৃত্যু হয় রোকসানা আক্তার রকির (১৮)। ফলে ওই ঘটনায় দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বার্ন ইউনিট ভবনের নিচ তলায় দগ্ধ মুক্তির চাচা ফরিদুল বলেন, আর এসব দৃশ্য দেখতে পারছিনা। এর চেয়ে মরে যাওয়া ভালো, প্রতি মুহূর্তে আতঙ্কে থাকতে হয়, কখন কি হয়ে যায়। এখানে আসা একটি মানুষও ভালো নেই।
বার্ন ইউনিটের কর্মরত আয়া মোরশেদা (৪৫) বাংলানিউজকে জানান, শুধু গরিব বলেই এই ইউনিটে পড়ে থাকি, রক্ত মাংসের মানুষ তো আর কতো সহ্য করবো। কয়েকদিন পরপর বড় বড় দুর্ঘটনার রোগীরা আসেন, দেখতে হয় নিষ্ঠুর বাস্তবতা। বিস্ফোরণে দগ্ধদের কষ্টের সীমা নেই।
হাসপাতাল থেকে মুক্তি পেলেও সব কিছু ঠিক হয়ে যাবেনা, এটা বয়ে বেড়াতে হবে সারা জীবন।
দগ্ধদের চিকিৎসার অগ্রগতি নিয়ে ঢামেকের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের আবাসিক সার্জন পার্থ শংকর বাংলানিউজকে জানান, চিকিৎসার দিক দিয়ে কোনো ত্রুটি নেই। তবে একটু সময় তো লাগবেই, বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, তাদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় কালার ম্যাচ বিডি লিমিটেড নামে ওই কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধসহ মোট ৩৯ জন আহত হন। তাদের মধ্যে ২০ জন নারী শ্রমিককে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৬
এসটি/জেডএস