ঢাকা: নাগরিক সুবিধা বিবেচনা করে ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) বা মেট্রোরেল রুট সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার।
নির্মাণ নকশায় সামান্য পরিবর্তন এনে দক্ষিণ অংশে কমলাপুর এবং উত্তর অংশে আশুলিয়ার বাইপাইল পর্যন্ত বর্ধিত করার প্রস্তাবটি বিবেচনাধীন রয়েছে।
প্রাথমিকভাবে উত্তরা, পল্লবী, রোকেয়া সরণীর পশ্চিম পাশ দিয়ে খামারবাড়ী হয়ে হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও, শাহবাগ-টিএসসি, দোয়েল চত্বর, তোপখানা রোড হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক পযর্ন্ত ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার মেট্রোরেল রুট নির্ধারণ করা হয়েছিলো। সম্প্রসারিত রুটের দৈর্ঘ্য হবে ৪১ দশমিক ৮ কিলোমিটার।
ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেটর অথিরিটির (ডিটিসিএ) বর্ধিত রুটের প্রস্তাবটি পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগে পাঠিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের জুন মাসের মধ্যেই নতুন রুট চূড়ান্ত করবে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)।
এ প্রসঙ্গে ডিটিসিএ-এর নির্বাহী পরিচালক কায়কোবাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, মতিঝিলের শাপলা চত্বরে মেট্রোরেল স্টেশন করার পরিকল্পনা ছিলো। দেখা গেছে কমলাপুরে হলে যাত্রীরা সহজেই অন্য জায়গায় পৌঁছাতে পারবেন। ভোগান্তি কমানোর পাশাপাশি রাজধানী ঢাকাকে যানজটমুক্ত করতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকাকে যানজট মুক্ত করতে আমরা পাঁচটি বড় পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি মেট্রোরেল রেল এবং দু’টি বিআরটি রুট। পরিকল্পিত মেট্রোরেল-১ রুটটি গাজীপুর থেকে শুরু হয়ে এয়ারপোর্ট ঘুরে কমলাপুরে গিয়ে শেষ হবে। অন্যদিকে নির্মাণাধীন এমআরটি-৬ কমলাপুরে গিয়ে মিলবে। এতে ঢাকাবাসীর যোগযোগ ব্যবস্থা অনেক সহজ হবে। ফলে যানজট ছাড়াই বাইপাইল থেকে মাত্র ৫০ মিনিটে ৪০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে যাত্রীদের কমলাপুরে পৌঁছে দেবে স্বপ্নের মেট্রোরেল, বলেন তিনি।
কায়কোবাদ আরও বলেন, মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য বাড়ানোর ফলে কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনায় (এসটিপি) পরিবর্তন করা হচ্ছে। ‘ঢাকা মেট্রো প্রজেক্ট প্রিপারেটরি টেকনিক্যাল অ্যাসিসট্যান্স’ প্রকল্পের আওতায় রুট সম্প্রসারণ করা হবে।
রুট চূড়ান্ত হওয়ার পরে নির্ধারণ করা হবে সম্প্রসারিত অংশের ব্যয়। এ ক্ষেত্রে সম্প্রসারিত অংশের নির্মাণ কাজে জাইকা’র সমপরিমাণ প্রকল্প সাহায্য দিতে চেয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৭১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৬
এমআইএস/এটি