ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পঞ্চগড়ে ক্ষুদ্র চা বাগান মালিকদের সংবাদ সম্মেলন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৬
পঞ্চগড়ে ক্ষুদ্র চা বাগান মালিকদের সংবাদ সম্মেলন ছবি-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

পঞ্চগড়ের সম্ভাবনাময় চা শিল্পকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলার ক্ষুদ্র চা বাগান মালিকরা।

পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ের সম্ভাবনাময় চা শিল্পকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলার ক্ষুদ্র চা বাগান মালিকরা।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় সদর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে জেলা স্মল টি গার্ডেন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।


 
এতে লিখিত বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের জেলা সভাপতি আমিরুল হক খোকন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জেলার ৩ হাজার হেক্টর সমতল ভূমিতে চা চাষ হচ্ছে। জেল‍ায় ৮টি চা স্টেট, ১২টি মাঝারি বাগান ও ২ হাজার ৫০০ জন ক্ষুদ্র চা বাগান মালিক রয়েছেন। কিন্তু ক্ষুদ্র বাগানে উৎপাদিত চা কারখানায় বিক্রি করতে চরম ভোগন্তি পোহাতে হচ্ছে। ২০ টাকা কেজি দরে কাঁচা চা পাতা কারখানায় বিক্রি করতে গেলে কারখানা মালিকরা কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ চা পাতা কর্তন করে মূল্য পরিশোধ করছেন।

জেলার সমতল ভূমির চা শিল্পকে রক্ষায় পর্যাপ্ত কারখানা  ও চায়ের নিলাম বাজার স্থাপন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি বাগান মালিকদের ভর্তুকি ও ঋণদান এবং বিদেশ থেকে চা আমদানি নিরুৎসাহিত করাসহ ৮ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে সংগঠনের জেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বার, পঞ্চগড় সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম, তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী আনিস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, জেলার কারখানা মালিকরা দাবি, কারখানার ধারণ ক্ষমতার প্রায় তিনগুণ বেশি চা পাতা আসায় তারা সব ক্রয় করতে পারছেন না।

চলতি মৌসুমে প্রায় ৮৫ মিলিয়ন কাঁচা চা পাতা উৎপাদনের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু উৎপাদিত চা পাতার বিপরীতে চা কারখানা রয়েছে মাত্র ৬টি। এছাড়াও কিছু কারখানায় নিজস্ব চা স্টেট রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৬
এসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।