ঢাকা: সাম্যবাদের স্বপ্নচারীদের নায়ক কিউবা বিপ্লবের নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর জীবনাবসানে গভীর শোক জানিয়েছে জাতীয় কবিতা পরিষদ।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস রিলিজে এ তথ্য জানানো হয়।
শোকবার্তায় পরিষদের সভাপতি কবি মুহাম্মদ সামাদ ও সাধারণ সম্পাদক কবি তারিক সুজাত বলেন, বাংলাদেশসহ স্বাধীনতাকামী বহু দেশের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকারীদের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র ফিদেল। বাংলাদেশ সরকার অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিন বছর আগে তাকে ‘মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননায়’ ভূষিত করে।
‘তিনি ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সুহৃদ ও বন্ধু। এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করছে জাতীয় কবিতা পরিষদ। ’
যুক্তরাষ্ট্রের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সমাজতান্ত্রিক কিউবা প্রতিষ্ঠা করে ফিদেল কাস্ত্রো বিশ্বে সমাজতন্ত্রের আন্দোলনকারীদের চোখে ছিলেন বীর।
১৯৫৫ সালে মুক্তির পর বন্ধু আরেক কমিউনিস্ট বিপ্লবী চেগুয়েভারাকে নিয়ে গেরিলা যুদ্ধ শুরু করেন তিনি। উদ্দেশ্য বাতিস্তা সরকারকে উৎখাত। ১৯৫৯ সালে তাতে সফল হওয়ার পর কিউবার প্রধানমন্ত্রী হন ফিদেল কাস্ত্রো।
কিউবায় সফল হওয়ার পর চেগুয়েভারা পাড়ি জমান অন্য দেশে একই ধরনের বিপ্লবে, তবে বলিভিয়ায় মারা পড়েন তিনি।
১৯২৬ সালে কিউবার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ওরিয়েন্তে প্রদেশে জন্ম ফিদেলের। সমাজতন্ত্রের আদর্শে দীক্ষা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মদদপুষ্ট বাতিস্তা সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রামের এক পর্যায়ে ১৯৫৩ সালে কারাগারে যেতে হয়েছিল তাকে।
বিশ্বজুড়ে কমিউনিস্টদের দুর্দিনের মধ্যে কংগ্রেসে ভাষণে তিনি কিউবাবাসীর উদ্দীপ্ত করে বলেছিলেন, ‘কমিউনিজম এখনও প্রাসঙ্গিক, কিউবা বিজয়ীই থাকবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৬
এমএ/