ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সংসারের হাল ধরতে গিয়ে বেহালদশা ফাতেমার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৬
সংসারের হাল ধরতে গিয়ে বেহালদশা ফাতেমার ছবি: কাশেম হারুন - বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সংসারে বাবা নেই। চার বোনের মধ্যে বড় বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। তাই নিজে দায়িত্ব নিয়ে সংসারের হাল ধরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দগ্ধ হয়ে এখন নিজেরই বেহালদশা মানিকগঞ্জের দৌলতপুরের ফাতেমার।

ঢাকা: সংসারে বাবা নেই। চার বোনের মধ্যে বড় বোনের বিয়ে হয়ে গেছে।

তাই নিজে দায়িত্ব নিয়ে সংসারের হাল ধরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দগ্ধ হয়ে এখন নিজেরই বেহালদশা মানিকগঞ্জের দৌলতপুরের ফাতেমার।

 

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে আশুলিয়ার জিরাবো এলাকার কালার ম্যাচ বিডি লিমিটেডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ হন ফাতেমা। এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) আইসিইউতে কথা হয় তার বড় বোন বিলকিসের সঙ্গে।

বিলকিস বলেন, আমাদের বাবা নেই। চার বোনোর মধ্যে আমি বড়। ফাতেমা মেজো। আমিও ওই এলাকার একটি ফ্যাক্টরিতে চাকরি করি। ঘটনার দিন বাসায় ছিলোম। হঠাৎ করে বাসা থেকে দেখি ম্যাচ ফ্যাক্টরিতে ধোঁয়া উড়ছে। ধোঁয়া দেখেই টেনশন বেড়ে যায়। গত মাসের ২৮ তারিখেই আমার বোনটা ওই কারখানায় সাড়ে চার হাজার টাকা বেতনে চাকরি নিয়েছে। আর ২৫ দিনের মাথায় সব শেষ হয়ে গেলো।  

বিলকিস জানান, বাবা নেই। আমারও বিয়ে হলে গেলো। তাই ফাতেমা ছোট দুই বোন আর মাকে নিয়ে সংসার চালানোর জন্যই চাকরি নেয়। ওর মুখ, হাত ও দুই পা দগ্ধ হয়েছে। কবে নাগাদ ভালো হয় সেটাই দেখার বিষয়। নিজের সংসার আবার মায়ের সংসার। সব মিলিয়ে একটা ঝামেলায় পড়েছি। তারপরও আশায় আছি। বোনটা একদিন না একদিন ভালো হবেই।

 ঢাকা মেডিকেলে ওই কারখানায় দগ্ধ ১৮ জন নারী শ্রমিক চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে চারজন আইসিইউতে, এইচডিইউ’তে (হাইডিপেনডেন্সি ইউনিট) চারজন, অবজারভেশন ওয়ার্ডে চারজন ও পোস্ট অপারেটিভ বিভাগে আছেন ছয়জন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬,২০১৬
ইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।