বরিশাল: বরিশালের উজিরপুরের হারতা বন্দরে ডাকাতির ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় দেশীয় পাইপগান, ৩ রাউন্ড গুলি ও ১টি ধারালো অস্ত্র (ছেনা) উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত ) মো. ইকবাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ডাকাতির সময় মারধরের পর বাজারের ব্যবসায়ী সোহরাব বেপারীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর তার ছেলে খোকন বেপারী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ডাকাতির ঘটনার পরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে শনিবার উজিরপুরের যোগীরকান্দা গ্রামের আ. মালেক হাওলাদারের ছেলে সুমন হাওলাদারকে (২৭) গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সুমন ডাকাতির সঙ্গে জড়িত এবং তার কাছে অস্ত্র রয়েছে বলে জানায়।
স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শনিবার মধ্যরাতে সুমনের নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বসতঘরে থাকা দেশীয় তৈরি পাইপগান, ৩ রাউন্ড গুলি ও ১টি ছেনা উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে, মামলা দায়েরের পর কাজিরহাট থানার চরসন্তোষ গ্রামের আ. মন্নান সিকদারের ছেলে মো. মামুন ওরফে আর্মি মামুন (৪১) এবং গৌরনদী উপজেলার বিল্লগ্রামের আক্তার আলী খন্দকারকে (৫২) গ্রেফতার করে উজিরপুর মডেল থানা পুলিশ।
২২ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় উজিরপুরের হরতায় পাইকারি মাছের বাজারে হাতবোমা ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। পরে ডাকাতরা স্পিডবোটে করে নদীপথে পালিয়ে যায়। ডাকাতির সময় সোহরাব বেপারীকে মারধর করে ডাকাত সদস্যরা। এর কিছুক্ষণ পরে তার মৃত্যু হয়।
অপরদিকে বাজার সংলগ্ন পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করে ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে এক এসআইকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত ও ৯ পুলিশ সদস্যকে সেখান থেকে প্রত্যাহার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৬
এমএস/আরএ