ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের অবৈধ ব্যয় ৬৫ কোটি টাকা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৬
ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের অবৈধ ব্যয় ৬৫ কোটি টাকা

ব্যবস্থাপনার নামে ৬৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা অবৈধ ব্যয় দেখিয়েছে বেসরকারি খাতের বিমা কোম্পানি ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।

ঢাকা: ব্যবস্থাপনার নামে ৬৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা অবৈধ ব্যয় দেখিয়েছে বেসরকারি খাতের বিমা কোম্পানি ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।

এ অনিয়ম খতিয়ে দেখতে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) বিশেষ অডিট ফার্ম (বিশেষ নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান) নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আইডিআরএ’র কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের কাছে তথ্য রয়েছে, কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ মিলে নির্ধারিত ব্যয়ের চেয়ে এ বিপুল পরিমাণ অর্থ বেশি খরচ দেখিয়েছে।
অনিয়মটি ধরা পড়ায় সবশেষ বোর্ড সভায় অডিট ফার্ম নিয়োগের এ সিদ্ধান্ত নেয় আইডিআরএ।  

সূত্র জানায়, অডিট ফার্ম কোম্পানির বিনিয়োগ, ঋণ, অগ্রিম, স্থায়ী সম্পদ ও অন্যান্য সম্পদ, গাড়ি, জমি ও বিল্ডিং, নগদ টাকা, ট্যাক্স ও ভ্যাট, চেয়ারম্যান ও পরিচালকরা কী পরিমাণ সম্মানি ও অন্যান্য সুবিধা নিয়েছেন- তা পর্যালোচনাসহ আয়, ব্যয় ও সম্পদের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখবে।

জানা গেছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি ২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় করেছে ১৪৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা।
অথচ নিয়ম অনুসারে প্রতিষ্ঠানটি ব্যবস্থাপনায় সর্বোচ্চ ৭৭ কোটি ৩১ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবে। সে হিসেবে গত সাত বছরে ৬৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা বেশি অবৈধ ব্যয় করেছে কর্তৃপক্ষ। যা বিমা আইন-২০১০ এর ৬৩ ধারা ও বিমা বিধিমালা-১৯৫৮ এর লঙ্ঘন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠানটি গত ৭ বছরে ব্যবস্থাপনা ব্যয় খাতে ৬৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা অতিরিক্ত খরচ করেছে। এর মধ্যে ২০০৯ সালে ৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, ২০১০ সালে ৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা, ২০১১ সালে ৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, ২০১২ সালে ৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা, ২০১৩ সালে ৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, ২০১৪ সালে ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং ২০১৫ সালে ১৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা বেশি ব্যয় দেখিয়েছে।
 
আইডিআরএ’র সদস্য জুবের আহমেদ খান বাংলানিউজকে বলেন, ‘জীবন বিমার পাশাপাশি সাধারণ বিমা খাতের ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সসহ বেশ কয়েকটি কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে নিয়ম বহির্ভ‍ূত খরচ পাওয়া গেছে।

‘আইনে নির্ধারিত অর্থের চেয়ে বেশি অর্থ ব্যয়ের কারণে কোম্পানির বিমা দাবি পরিশোধের সক্ষমতা কমে যায়। পাশাপাশি শেয়ার হোল্ডাররা ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হন। তাই কোম্পানির নিয়ম বহির্ভূত খরচের কারণ জানতে কোম্পানিতে নিরীক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এরপর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

আইন লঙ্ঘন করে ৬৫ কোটি টাকা বেশি খরচের কথা স্বীকার করেছেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে এম সারওয়ার্দী চৌধুরীও। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, পুরনো আইন অনুসারে সব কোম্পানির অতিরিক্ত ব্যয় হয়েছে। বর্তমান বাস্তবতায় এটি অবৈধ নয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৬
এমএফআই/এমএ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।