ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বরিশালের বিভিন্ন নৌপথের নাব্যতা ফেরাতে খনন শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৬
বরিশালের বিভিন্ন নৌপথের নাব্যতা ফেরাতে খনন শুরু বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বরিশাল-ঢাকা নৌ পথসহ অভ্যন্তরীণ রুটগুলোর নাব্যতা ফেরাতে খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বরিশাল: বরিশাল-ঢাকা নৌ পথসহ অভ্যন্তরীণ রুটগুলোর নাব্যতা ফেরাতে খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এরই মধ্যে রোববার (২৭ নভেম্বর) থেকে বরিশাল নদী বন্দর সংলগ্ন এলাকা, লাহারহাট-ভেদুরিয়া ও ভোলানালায় খননের কাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বরিশালের কর্মকর্তারা।

এছাড়াও মিয়ারচর, বাহেরচর, ভাষানচর, পাতারহাট, ভোলা-লক্ষীপুর রুটসহ বিভিন্ন রুটে পর্যায়ক্রমে গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তার ওপর ভিত্তি করে খনন কাজ করা হবে।

নির্দিষ্ট কোন মেয়াদকাল ও খননের পরিমাণ না থাকলেও এ কাজ এখন থেকে পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত চলতে থাকবে। এ খনন কাজে শুরুর দিকে বিআইডব্লিউটিএ’র নিজস্ব ড্রেজিং মেশিন কাজে লাগানো হচ্ছে। এসব কথা জানিয়েছেন ড্রেজিং বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলী মো. শফিউল্লাহ।

তিনি জানান, শীত মৌসুম এলেই নদীপথে লঞ্চ চলাচলে নাব্য সংকট দেখা দেয়। এ বছরও একই সমস্যা দেখা দিয়েছে। রোববার শুরু করা জরুরি ভিত্তির খনন কাজের মধ্যে বরিশাল নৌ বন্দর সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীতে প্রায় সোয়া লাখ ঘন মিটার খনন করা হবে। আর খনন করা বালি কখনো নদীতে আবার কখনো জায়গা থাকলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা হবে। তবে নদীর যে স্থানে স্রোত/গভীরতা রয়েছে, খনন করা বালু আটকে থাকবে না, সে স্থানেই তা ফেলা হবে।

এদিকে খননের শুরুতেই অনেকটা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তা এবং লঞ্চ চালক-মালিকরা। ড্রেজিং বিভাগের পক্ষ থেকে নদী বন্দর এলাকায় খনন শুরুর পর পন্টুনের পাশ থেকে লঞ্চ কিছুটা দূরে সরিয়ে নিতে বলা হলেও তা শুনছেন না লঞ্চ-মালিক ও শ্রমিকরা। এ অবস্থায় ড্রেজিং কাজে ব্যাঘাত ঘটছে।

তাই নদী বন্দর এলাকায় শুরুর দিনই থমকে থাকে ড্রেজিং কাজ বলে জানিয়েছেন বরিশাল নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার।

অন্যদিকে লঞ্চ মালিকদের অভিযোগ, নদীর বালু নদীতে ফেলায় খননের সুফল মিলছে না। প্রতি বছর একই স্পট খনন করা হলেও পরের বছর ফের একই অবস্থার সৃষ্টি হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৬
এমএস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।