ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আত্মসমর্পণ করুন নয়তো অন্য কোথাও চলে যান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৬
আত্মসমর্পণ করুন নয়তো অন্য কোথাও চলে যান ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) দস্যুবাহিনীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আপনারা যারা এখনো  আত্মসমর্পণ করেননি তারা হয় আত্মসমর্পণ করুন, নয়তো অন্য কোথাও চলে যান।

বরিশাল: র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) দস্যুবাহিনীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আপনারা যারা এখনো  আত্মসমর্পণ করেননি তারা হয় আত্মসমর্পণ করুন, নয়তো অন্য কোথাও চলে যান।

 

সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় বরিশাল নগরের রুপাতলির র‌্যাব-৮ এর সদর দফতরে দস্যু খোকাবাবু বাহিনীর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এই দস্যুদের যারা আড়াল থেকে সহযোগিতা করছেন, অস্ত্র দিচ্ছেন, ডাঙা থেকে নামিয়ে মানুষ খুন করাচ্ছেন, লুটের সম্পদ ভাগ করছেন তাদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের অবস্থা আরো ভয়াবহ হবে। এটা কোন হুমকি-ধমকির কথা নয় সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবেই।

তিনি আরো বলেন, নৌ-বাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ, র‌্যাবসহ দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দস্যুদের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। দ্রুতগামী বোট, হেলিকপ্টার, আধুনিক প্রযুক্তি ও অস্ত্র রয়েছে তাদের কাছে। সুন্দরবন থেকে দস্যুদের নির্মূল করা হবেই এবং সে পর্যন্ত সব বাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বন ও সমুদ্রে জীবিকা নির্বাহকারী জেলে ও শ্রমজীবীদের সর্বোচ্চ সহযোগীতার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
 
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল ও বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, বরিশাল-১ আসনের সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য তালুকদার মোহাম্মাদ ইউনুস, বরিশাল-৫ আসনের সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজ ও র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।

বরিশাল-১ আসনের সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ তার বক্তব্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এসব সফলতায় সাধুবাদ জানিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার আহবান জানান।

র‌্যাব-৮-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. ইফতেখারুল মাবুদ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কোস্টগার্ড এর ক্যাপটেন মো. আলী চৌধুরী, বরিশালের ডিআইজি শেখ মারুফ হাসান, জেলা পরিষদের প্রশাসক খান আলতাফ হোসেন ভুলু প্রমুখ।

গত ৩১ মে থেকে সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় র‌্যাব-৮। সেসময় থেকে এ পর্যন্ত ৭টি বাহিনী আত্মসমর্পণ করলো। সর্বশেষ সুন্দরবনের শরণখোলা এবং চাঁদপাই রেঞ্জে ২৫ নভেম্বর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তারা।

এর আগের ৬টি অভিযানে চলতি বছরের ৩১ মে ৫২টি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র এবং প্রায় ৪৫০০ রাউন্ড গোলাবারুদসহ সুন্দরবনের দস্যু “মাস্টার বাহিনীর” ১০ সদস্য, ১৪ জুলাই ২৫টি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ১০২০ রাউন্ড গোলাবারুদসহ সুন্দরবনের দস্যু “মজনু ও ইলিয়াস বাহিনীর” ১১ জন, ৭ সেপ্টেম্বর ২০টি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র এবং সর্বমোট ১০০৮ রাউন্ড গোলাবারুদসহ সুন্দরবনের দস্যু “আলম ও শান্ত বাহিনীর” ১৪ জন, এবং সর্বশেষ গত ১৯ অক্টোবর ২০টি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫৯৬ রাউন্ড বিভিন্ন প্রকার গোলাবারুদ’সহ র‌্যাব-৮ এর কাছে আত্মসমর্পণ করে।

পাশাপাশি র‌্যাব প্রতিষ্ঠা থেকে এ পর্যন্ত সফল অভিযানে ৬৫২টি অস্ত্র, ১৮,০৫৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধারসহ ২২৬ জন দস্যুকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়।

বাংলাদেশ সময় : ১৬০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৬
এমএস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।