ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

খুলনার এহসান সোসাইটির ক্ষতিগ্রস্তদের ১১ কোটি টাকা ফেরতের দাবি

ব্যুরো এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৬
খুলনার এহসান সোসাইটির ক্ষতিগ্রস্তদের ১১ কোটি টাকা ফেরতের দাবি

মুফতি গোলাম রহমান এবং মুফতি রশিদ আহমাদ সুদমুক্ত বিনিয়োগের কথা বলে এহসান সোসাইটি ও এহসান রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট লিমিটেডের নামে খুলনায় প্রায় ১১ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

খুলনা: মুফতি গোলাম রহমান এবং মুফতি রশিদ আহমাদ সুদমুক্ত বিনিয়োগের কথা বলে এহসান সোসাইটি ও এহসান রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট লিমিটেডের নামে খুলনায় প্রায় ১১ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

জালিয়াতির সঙ্গে এহসান সোসাইটি ও এহসান রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট লিমিটেডের ম্যানেজার রবিউল ইসলামেরও যোগসাজস রয়েছে।

দীর্ঘ দুই বছর পার হলেও তারা টাকা ফেরত না দিয়ে নানা টালবাহানা করছেন। উল্টো টাকা চাইলে মাঠকর্মীদের বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এহসান সোসাইটি ও রিয়েল এস্টেটের ক্ষতিগ্রস্ত কর্মী ও সদস্যদের নিয়ে গঠিত অর্থ আদায় সংগ্রাম কমিটির পক্ষ থেকে সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে মহানগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা এসব অভিযোগ করেন।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে বলা হয়, ২০০৪ সাল থেকে খুলনায় এহসান সোসাইটির কার্যক্রম শুরু করেন প্রতিষ্ঠানটির কেন্দ্রীয় পরিচালক মুফতি গোলাম রহমান এবং খুলনা জেলা সমন্বয়কারী ডালমিল মোড়স্থ মক্কি মসজিদের ইমাম মুফতি রশিদ আহমাদ। সঙ্গে ছিলেন গোলাম রহমানের ভাগ্নে খুলনা শাখার ম্যানেজার রবিউল ইসলাম।

এরা ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে খুলনার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন ও মাদরাসার শিক্ষকদের ডেকে নিয়ে সুদমুক্ত বিনিয়োগের কথা বলে গ্রাহক সংগ্রহ করতে উদ্বুদ্ধ করেন। ইমাম-মুয়াজ্জিন ও মাদরাসার শিক্ষকসহ দুই শতাধিক মাঠকর্মী তাদের কথায় প্রলুব্ধ হয়ে গ্রাহক সংগ্রহে নেমে পড়েন।

এভাবে ২০১৪ সাল পর্যন্ত শুধুমাত্র খুলনা মহানগরী ও দিঘলিয়া উপজেলা এলাকা থেকেই সংগ্রহ করা হয় ১০ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এর মধ্যে খুলনা সদর ও সোনাডাঙ্গা এলাকা থেকে এহসান সোসাইটিতে মাসিক সঞ্চয় বাবদ ৩ কোটি টাকা, খালিশপুর এলাকা থেকে দেড় কোটি টাকা এবং দিঘলিয়া উপজেলা থেকে ৪০ লাখসহ মোট ৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা সংগ্রহ করা হয়। এছাড়া রিয়েল এস্টেটের নামে মাসিক মুনাফার নামে আরও সংগ্রহ করা হয় ৬ কোটি টাকা।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা অভিযোগ করেন, দীর্ঘ দুই বছর পার হলেও মুফতি গোলাম রহমান ও মুফতি রশিদ আহমাদ টাকা ফেরত না দিয়ে নানা টালবাহানা করছেন। উল্টো টাকা চাইলে মাঠকর্মীদের বাড়াবাড়ি না করতে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে।

অন্যদিকে, আমানতের টাকা ফেরত দিতে না পারায় মাঠকর্মীরা প্রতিনিয়ত গ্রাহকদের হাতে লাঞ্ছিত হচ্ছেন। যে কারণে অনেকেই মারাত্মক অসুস্থ এবং স্ট্রোকও করেছেন। আবার অনেক মাঠকর্মীকে মসজিদ-মাদরাসা থেকে চাকরিচ্যুতও করা হয়েছে।

এ অবস্থায় আমানতের অর্থ ফেরত পেতে তারা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। একই সঙ্গে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তিরও দাবি জানানো হয় মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে।

মানববন্ধনে এহসান সোসাইটি ও রিয়েল এস্টেটের ক্ষতিগ্রস্ত কর্মী ও সদস্যদের নিয়ে গঠিত অর্থ আদায় সংগ্রাম কমিটির সভাপতি মাওলানা আবু জর, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল মতিন, হাফেজ মাওলানা আব্দুল মালেক, হাফেজ শাহ আলম, মাওলানা হেমায়েত উদ্দিন, মাওলানা জিএম এমদাদুল হক, শরীফ মিজানুর রহমান, মুফতি মুনিরুজ্জামান, হাফেজ মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৬
এমআরএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।