ঢাকা: মায়ানমারে রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের নিন্দা জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা করে সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশসহ সমমনা সব দেশের সঙ্গে কাজ করতে যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহী বলেও জানান তিনি।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
সাংবাদিকে এক প্রশ্নের জবাবে বার্নিকাট বলেন, রাখাইন রাজ্যে মায়ানমারের সাম্প্রতিক সেনা অভিযানের পর সেখানে কী ঘটছে কেউ কিছু জানে না। কাউকে সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে সবাই অন্ধকারে রয়েছে।
রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে স্বচ্ছ ও আনুষ্ঠানিক তদন্ত প্রয়োজন বলে মনে করেন মার্শা বার্নিকাট। আন্তর্জাতিকভাবে মায়ানমারের সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করারও আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট বাংলাদেশ (ডিক্যাব)-এর সভাপতি আঙুর নাহার মন্টি ও সাধারণ সম্পাদক পান্থ রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সংক্ষিপ্ত সূচনা বক্তব্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন বেশি শক্তিশালী। চলতি বছর ঢাকা, ব্রাসেলস, প্যারিস, নিউইয়র্ক, ইস্তাম্বুলসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাস ও উগ্রবাদী হামলায় সাধারণ লোকজন ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার পরেও সবাই সংঘবদ্ধ থেকে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রেখেছি।
তিনি বলেন, দুদেশের বাণিজ্য সমৃদ্ধ হচ্ছে। প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ছে। উল্ল্যেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন এবং ফিরে এসে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার কাজে যোগ দিচ্ছেন।
আগামী বছরকে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিস্তৃতকরণের বছর হিসেবে দেখা হচ্ছে বলেও জানান বার্নিকাট।
বাংলাদেশের উন্নয়নে মার্কিন সহযোগিতা অব্যাহত থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মার্শা বলেন, বাংলাদেশ সহিংসতা থেকে বাচাঁতে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দান করলে তাতে পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করবে। তবে এতে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৬/আপডেট: ১৯৪৮ ঘণ্টা
জেপি/এমজেএফ