বগুড়া: ছয় দিন আগের ২৩ নভেম্বরের ঘটনা। স্থান বগুড়ার গাবতলী পৌরসভার খলিশাকুড়া।
তারপর থেকে বগুড়া সদর উপজেলার সঙ্গে তিনটি উপজেলার সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে ব্রিজটি দিয়ে নিয়মিত চলাচলকারী গাবতলী, সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলার অন্তত ছয় লাখ মানুষকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।
স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, ভেঙে পড়া এই ব্রিজটির জন্য মানুষকে প্রায় ৮-১০ কিলোমিটার বাড়তি পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে। গন্তব্যে চলাচল করতে ব্যয় করতে হচ্ছে দ্বিগুণ অর্থ।
স্থানীয়রা বলেন, বগুড়া-সারিয়াকান্দি আঞ্চলিক সড়ক হয়ে তিন উপজেলার সিংহভাগ মানুষ সদর উপজেলায় নিয়মিত যাতায়াত করেন। আবার এই সড়ক হয়ে বগুড়া শহরের লোকজনও নানা কারণে এ তিন উপজেলায় আসা-যাওয়া করেন থাকেন। বেইলি ব্রিজের ভেঙে পড়া অংশটি এখন বাঁশ দিয়ে সংস্কারের কাজ চলছে। ব্রিজের নিচে খাদের ওপর অস্থায়ীভাবে চলাচলের জন্য বিকল্প পথ তৈরি করা হয়েছে। সেই পথ দিয়ে সীমিত আকারে মানুষ পায়ে হেঁটে যাতায়াত করছেন। যানবাহনের মধ্যে মোটরসাইকেল পারাপার হতে পারছে।
আব্দুল করিম ও শাহজাহান আলীসহ একাধিক কৃষক বাংলানিউজকে জানান, এসব উপজেলার বিশাল এলাকাজুড়ে জমিতে কৃষি পণ্য উৎপাদিত হয়। বগুড়া শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় উৎপাদিত কৃষি পণ্য বিক্রি করা হয়। কিন্তু ব্রিজ ভেঙে পড়ায় তাদের মতো কৃষকদের চরম সমস্যায় পড়তে হয়েছে। অনেক পথ ঘুরিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে করে পরিবহন ব্যয় বাবদ বাড়তি টাকা গুণতে হচ্ছে। ফলে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকরা।
একই সমস্যায় রয়েছেন এসব উপজেলার চাকরিজীবী, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
বগুড়া সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হালিম বাংলানিউজকে বলেন, বেইলি ব্রিজটি অস্থায়ীভাবে বাঁশ দিয়ে যতটা পারা যায় শক্তভাবে সংস্কার করা হচ্ছে। এজন্য দিনরাত কাজ করা হচ্ছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সংস্কার কাজ শেষ হবে।
তবে কবে নাগাদ ব্রিজটি স্থায়ীভাবে সমাধান করা হবে তা সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি সড়ক ও জনপদ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৬
এমবিএইচ/এইচএ/