ঢাকা: গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে জনগণের স্বাধীনতা বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ স ম আরেফিন সিদ্দিক।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী সিনেট ভবনে ‘গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ক’ প্রথম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনের আয়োজন করে ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ।
আরেফিন সিদ্দিক বলেন, গণমাধ্যম জনগণের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে। গণমাধ্যম হচ্ছে জনগণের মাধ্যম। সেখানে জনগণের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়।
উপাচার্য বলেন, সংবাদ মাধ্যমে প্রতিযোগিতা থাকবেই। প্রথমে সংবাদ উপস্থাপন করতে গিয়ে বস্তুনিষ্ঠতা যেন হারিয়ে না ফেলি, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে কিছুক্ষণ পরে বস্তুনিষ্ঠতা নিশ্চিত করে সংবাদ উপস্থাপন করতে হবে।
অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন,বর্তমানে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের সুবর্ণ সুযোগ যাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে না। এখন দেখার বিষয়, গণমাধ্যমের এ অবাধ স্বাধীনতা গণমাধ্যম কতোটুকু ব্যবহার করতে পারে।
গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতার উদাহারণ হিসেবে বিডিয়ার বিদ্রোহের ঘটনা তুলে ধরেন তিনি বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা যেভাবে গণমাধ্যমে উঠে এসেছিলো। তা বিশ্বের অন্য কোনো দেশে সম্ভব ছিলো না। এটা সরকারের গণমাধ্যমকে দেওয়া অবাধ স্বাধীনতার নজির।
গণযোগাযোগের চেয়ে আন্তঃযোগাযোগ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে উপাচার্য বলেন, আমাদের নিজেদের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ কতোটুকু আছে এটা নিয়ে ভাবতে হবে। গণযোগাযোগের চেয়ে আন্তঃযোগাযোগ বাড়াতে হবে। ১ জুলাই গুলশান হামলার ঘটনায় যারা জড়িত ছিলো তাদের পরিবারের সঙ্গে আন্তঃযোগাযোগ না থাকায় তারা জঙ্গি হয়েছিলো।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান হিসেবে রয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
এতে আরো উপস্থিত রয়েছেন সরকারের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা গোলাম রহমান, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও বিএফইউজে’র সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৬
এমসি/এসকেবি/এএটি/আরআই