ঢাকা: সম্প্রতি বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমে প্রকাশিত এক সংবাদের ব্যাপারে প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
মঙ্গলবার ( নভেম্বর ২৯) নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ বিভাগের সহকারী পরিচালক আশাদুল স্বাক্ষরিত ওই প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়,
‘১৪ নভেম্বর ২০১৬ তারিখের banglanews24.com পত্রিকায় ‘এনআইডি ঘিরে চলছে রমরমা বাণিজ্য’ শীর্ষক প্রতিবেদনের প্রতি কর্তপক্ষের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে এনআইডি অফিসের দ্বিতীয়তলায় দায়িত্বরত জনৈক মাসুম নামের এক কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, এনআইডি অফিস ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনের ৭ম তলা থেকে ১০ম তলা পর্যন্ত অবস্থিত এবং এই অফিসের কোথাও মাসুম নামের কোনো কর্মকর্তা নেই। ভবনের নিচ তলা হতে ৬ষ্ঠ তলায় স্থাপিত ইসলামিক ফাউন্ডেশনে এই নামে কেউ কর্মরত আছে কিনা তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত,গত আগস্ট ২০১৫ সাল হতে সেবা বিকেন্দ্রীকরণ চালু হওয়ায় জাতীয় পরিচয় পত্র সংক্রান্ত সকল সেবা উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে স্থানান্তর করা হয়েছে। ফলে অত্র কার্যালয়ে জরুরি ভিত্তিতে শুধুমাত্র হারানো জাতীয় পরিচয়পত্র উত্তোলন ব্যতীত অন্য সেবা প্রদান করা হচ্ছে না।
জাতীয় পরিচয় পত্র নিবন্ধন আইন,২০১০ অনুযায়ী জরুরি সেবা ০৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে প্রদানের কথা থাকলেও এনআইডি কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে প্রতিদিনের জমাকৃত আবেদনের বিপরীতে ঐদিন অপরাহ্নেই জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ করে থাকে। এই ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও একজন ব্যক্তি কেন দুই দিনের মধ্যে হারানো কার্ড পুন:প্রাপ্তির জন্য দুই হাজার টাকা প্রদান করবেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। এত অল্প সময়ে সেবা প্রদান কেবল জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ করে বলেই আমাদের বিশ্বাস।
জাতীয় পরিচয় পত্র নিবন্ধন আইন ২০১০ এর আওতায় প্রণীত বিধি প্রবিধানে জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা প্রাপ্তির জন্য সরকার নির্ধারিত ফি/চার্ট এর চার্ট লিপিবদ্ধ রয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, উল্লিখিত ফি এর বাইরে সেবাপ্রাপ্তির জন্য অত্র কার্যালয়ে কোন প্রকার অর্থের প্রয়োজন হয় না। বহিরাগত দালাল এবং অসাধু লোকদের নিবৃত্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট থানা এবং র্যাব এর নিয়মিত অভিযান প্রেক্ষিতে এ পর্যন্ত আটজন বহিরাগত দালাল আটক হয়েছেন।
বিচ্ছিন্নভাবে ঘটে যাওয়া কিছু অনিয়মের ঘটনাও কঠোর মনিটরিং এর কারণে ধরা পড়েছে।
২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত একজন সহকারী পরিচালক,দুইজন টেকনিক্যাল এক্সপার্ট, তিনজন টেকনিক্যাল সাপোর্ট স্টাফ ও আটজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর বিভাগীয় শাস্তির আওতায় চাকরিচ্যুত হয়েছেন। নিজস্ব কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত ভিজিল্যান্স টিমের তদারকিও চলমান রয়েছে।
গ্রাহক সেবা উন্নয়নে যেকোনো প্রকার মতামত এবং সমালোচনা আমাদের কাম্য। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের নিরলস চেষ্টা এবং গণমাধ্যমে গঠনমূলক ভূমিকা সেবার মান উন্নয়নের জন্য আরও কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৬
এসজেএ/আরআই