ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মগবাজার ফ্লাইওভারে ভূঁতুড়ে পরিবেশ!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৬
 মগবাজার ফ্লাইওভারে ভূঁতুড়ে পরিবেশ! ছবি: রানা

রাজধানীর মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারটির রমনা হলি ফ্যামিলি থেকে সাতরাস্তা একাংশের উদ্বোধনের কিছুদিন পর থেকেই ধুঁকতে থাকে বাতি সমস্যায়। যে সমস্যা এখনো চলমান। 

ঢাকা: রাজধানীর মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারটির রমনা হলি ফ্যামিলি থেকে সাতরাস্তা একাংশের উদ্বোধনের কিছুদিন পর থেকেই ধুঁকতে থাকে বাতি সমস্যায়। যে সমস্যা এখনো চলমান।

 

শুধু তাই নয়, ফ্লাইওভারটির দীর্ঘ দুই কিলোমিটার রাস্তার সাত রাস্তা অভিমুখে মাত্র ১০-১২টি ল্যাম্প পোস্টের বাতি জ্বলতে দেখা গেছে। বাকি ল্যাম্প পোস্টের বাতিগুলোর বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন।  
 
ফলে, আধুনিক এই ফ্লাইওভারটিতে রাতে চলাচল করতে গাড়ির হেডলাইটের আলোই একমাত্র ভরসা। তাই পুরো ফ্লাইওভার জুড়ে ভূঁতুড়ে পরিবেশ।
 
সরেজমিনে মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দিনগত মধ্যরাতে মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভ‍ারে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।
 
এছাড়া মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার একাংশের ল্যাম্প পোস্টের বাতি থাকলেও নেই বৈদ্যুতিক সংযোগ। ফলে, জ্বলছে না কোনো ল্যাম্প পোস্টের বাতি। অপরদিকে ফ্লাইওভারটির হাতিরঝিল থেকে এফডিসি মোড় নেওয়া অংশের কাজ চলছে। আর এখানেই মাদকের আখড়ায় আড্ডা দিচ্ছেন মাদকসেবীরা। ফলে, ফ্লাইওভারটিতে বাতি না থাকায় পরিণত হয়েছে মাদকের অভয়ারণ্যে।
 
বাতি না জ্বলা রাজধানীর এই দীর্ঘ দুই কিলোমিটার ফ্লাইওভারটিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা যায়নি। এছাড়া রাতে সাত রাস্তা মোড়ে পুলিশ সদস্যদের চেকপোস্ট থাকার কথা থাকলেও তা চোখে পড়েনি।
 
ফ্লাইওভারটিতে বাতি না জ্বলা প্রসঙ্গে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক রুবেল বাংলানিউজকে বলেন, এতবড় একটি ফ্লাইওভার, অথচ লাইট নেই। পুরো সড়ক জুড়ে অন্ধকার। এ পথে রাতে চলাচল করতে একমাত্র ভরসা গাড়ির হেডলাইট। এছাড়া বাতি না থাকায় যেকোনো মূহুর্তে বড় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।
 
চলতি বছরের ৩০ মার্চ মগবাজার-মৌচাক উড়াল সড়কের হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল থেকে সাতরাস্তা পর্যন্ত ২ কিমি রাস্তাটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর ওইদিন থেকেই জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মক্ত করা হয় ফ্লাইওভারটি।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ২০১৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ শুরু হয়ে ২০১৫ সালের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। যার ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
 
তবে, ঠিকাদার ও তত্ত্বাবধায়ক প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতার কারণে তিন দফায় সময় বাড়ানোর পর এখন ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। পাশাপাশি প্রকল্পের ব্যয় ৫৮ শতাংশ বেড়ে হয়েছে এক হাজার ২১৯ কোটি টাকা।
 
উড়াল সড়কটির নির্মাণ কাজ করছে ভারতের সিমপ্লেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও নাভানার যৌথ উদ্যোগের প্রতিষ্ঠান ‘সিমপ্লেক্স নাভানা জেভি’ এবং চীনা প্রতিষ্ঠান দ্য নাম্বার ফোর মেটালার্জিক্যাল কনস্ট্রাকশন ওভারসিজ কোম্পানি (এমসিসিসি) ও তমা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড।
 
অন্যদিকে রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনে ১৯৯৯ সালের ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন বোর্ডের (ডিটিসিবি) সমীক্ষা অনুযায়ী ২০টি পয়েন্টে ফ্লাইওভার/আন্ডারপাস, বাস বে, বাস টার্মিনাল, পার্কিং এরিয়া নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছিল। তারই অংশ হিসেবে মহাখালী ও খিলগাঁও ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়। এরপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে বাস্তবায়নাধীন মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার প্রকল্প ২০১১ সালে অনুমোদন পায়।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৬
এসজে/পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।