ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

থেমেই থাকে যানবাহন, সঙ্গে রাস্তাও!

শেখ জাহাঙ্গীর আলম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৬
থেমেই থাকে যানবাহন, সঙ্গে রাস্তাও! ছবি: শাকিল আহমেদ- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা। রাজধানীর বনানী-কাকলী সিগন্যালে যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ। সঙ্গে ঘরমুখো মানুষেরও ভিড়। সবাই ছোটাছুটি করছেন, কেউ বাসে উঠতে আর কেউ রাস্তা পারাপার হতে।

ঢাকা: সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা। রাজধানীর বনানী-কাকলী সিগন্যালে যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ।

সঙ্গে ঘরমুখো মানুষেরও ভিড়। সবাই ছোটাছুটি করছেন, কেউ বাসে উঠতে আর কেউ রাস্তা পারাপার হতে।

 

তবে রাস্তার দু’পাশের যানবাহনগুলো থেমেই আছে। সিগন্যাল পড়লেই ছুটবে সেগুলো। বনানী-কাকলী থেকে মহাখালীগামী যানবাহনগুলো আটকে আছে সিগন্যালের এ পাশে আর মহাখালী হয়ে আসা যানবাহনগুলো অন্য পাশে। তবে বনানীর কামাল আতাতুর্ক রোড থেকে আসা যানবাহনগুলো চলতে পারছে।
অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই রাস্তা পারাপার হচ্ছেন পথচারীরা। হাত জাগিয়ে চলন্ত গাড়ির সামনে দিয়েই পার হতে দেখা গেছে তাদের। ওদিকে বনানীর ফুটওভার ব্রিজটি কিন্তু খালি, সেখানে লোকের সমাগম নেই।

কাকলী রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থেকেই যাত্রী তুলছে মিরপুরগামী বেশ কিছু বাস। এর জন্য বনানী থেকে মহাখালী যাওয়ার পথে রাস্তার একপাশে অনেকটা জায়গা দখল করে রেখেছে ওই পরিবহনগুলো।
বনানী সিগন্যাল পার হয়ে রয়েছে বাস-বে। সেখানে যাত্রী ওঠানো-নামানোর জন্য নির্ধারিত করা হয়েছে। সেখান থেকে আবার শুরু হয়েছে যানজট। এই যানজট চলে গেছে বনানী চেয়ারম্যান বাড়ি পর্যন্ত। সেখান থেকে আবার সামনের রাস্তা অনেকটা খালি।
সেতু ভবনের সামনে দিয়ে মহাখালী ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তাটিতেও রয়েছে যানজট। তবে সেটি মহাখালীর সিগন্যালের জন্য।

রাস্তার অন্যপাশে অর্থাৎ মহাখালী থেকে বনানী যাওয়ার পথেও রয়েছে যানজটের চাপ। রাস্তার পাশে রাখা হচ্ছে প্রাইভেটকার ও ভ্যানগাড়ি। রাস্তার একটি অংশ দখল করে রাখছে সেগুলো। ফলে এদিকটায়ও কিছু যানবাহন চলাচলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
বনানী পুলিশ বক্সের দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মো. মাহবুবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘এই সিগন্যালে কিছু কিছু সময় যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। আর চলন্ত গাড়ির মধ্য দিয়েই পথচারীরা পারাপার হচ্ছেন। তাদের মানা করা হলেও শোনেন না’।

‘কিন্তু ফুটওভার ব্রিজটি ব্যবহার করছেন না কেউ। বেশিরভাগ শিক্ষিত লোকেরাই এমন অসচেতনভাবে পারাপার হচ্ছেন’।

মহাখালী ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তায় সাতরাস্তা থেকে নাবিস্কো হয়ে আসা যানবাহনগুলো সিগন্যালে দাড়িয়ে আছে। আর অন্যপাশে যানবাহনগুলো জাহাঙ্গীর গেটেরে দিকে যাওয়ার জন্য মোড় ঘুরছে।
সেখানে দেখা গেছে, রেলক্রসিংয়ের পাশে মিরপুরগামী  ও মোহাম্মদপুরগামী লেগুনাগুলো রাস্তার পাশেই দাঁড়িয়েই যাত্রী তুলছে ও নামাচ্ছে। এতে মোড় ঘুরে আসা বাস ও অন্যান্য যানবাহনগুলো কিছুক্ষণ সেখানে দাঁড়িয়ে থাকছে। এতেও রাস্তায় কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

ট্রাফিক পুলিশ বার বার গাড়িগুলোকে সরিয়ে দিলেও কিছুক্ষণ পর একই অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে।
এরপর জাহাঙ্গীর গেট পর্যন্ত রাস্তা ফাঁকা। তবে সেখান থেকে বিজয় সরণি মোড় পর্যন্ত রয়েছে সিগন্যাল।

এসব দৃশ্য গত সোমবারের (২৮ নভেম্বর)। এভাবেই নিত্যদিনের সকাল, দুপুর, সন্ধ্যা রাতের যানজটে যানবাহন আটকে থাকে বনানী-কাকলী থেকে মহাখালী ফ্লাইওভার হয়ে বিজয় সরণি পর্যন্ত বিস্তীর্ণ সড়কে। গাড়ির সঙ্গে সঙ্গে পুরো রাস্তাটি যেন থেমেই থাকে, চলে না।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৬
এসজেএ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।