ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

খুলনার উপকূলীয় উপজেলায় নবযাত্রা কর্মসূচির উদ্বোধন

ব্যুরো এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৬
খুলনার উপকূলীয় উপজেলায় নবযাত্রা কর্মসূচির উদ্বোধন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

খুলনা জেলার দাকোপ ও কয়রা এবং সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলার ৪০টি ইউনিয়নের ৭শ’ ৪০টি গ্রামের দুই লাখ পরিবারকে স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি খাতে সহযোগিতা, কর্মসংস্থানের জন্য প্রশিক্ষণ, খাদ্য নিরাপত্তা...

খুলনা: খুলনা জেলার দাকোপ ও কয়রা এবং সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলার ৪০টি ইউনিয়নের ৭শ’ ৪০টি গ্রামের দুই লাখ পরিবারকে স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি খাতে সহযোগিতা, কর্মসংস্থানের জন্য প্রশিক্ষণ, খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি ও দুর্যোগ সহনশীলতার জন্য নবযাত্রা নামে একটি কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। পাঁচ বছর মেয়াদি এ কর্মসূচিতে ব্যয় হবে ৫শ’ ৯০ কোটি টাকা।

বুধবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে খুলনায় একটি হোটেলে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।

ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডিরেক্টর ফ্রেড উইটিভিসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামাল, মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাট, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন ইউএসএইড মিশনের পরিচালক জেনিনা মেরুজেলস্কি, ওয়ার্ল্ড  ভিশন ইউএসএ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট জেড হফম্যান, নবযাত্রা কর্মসূচির চিফ অব পার্টি রাকেশ কাটাল।

মন্ত্রী বলেন, এ এলাকার মানুষের দুর্ভাগ্য এই যে, একটি দুর্যোগ থেকে পুনরুদ্ধারের আগেই আরেকটি দুর্যোগের মুখোমুখি হন। এর ফলে তাদের দুর্যোগ সহনশীলতার মাত্রা আরও হ্রাস পায়। গত এক দশকে সিডর, আইলা, মহাসেনের মতো ঘূর্ণিঝড় এ অঞ্চলে ব্যাপক প্রাণহানী ও অর্থনৈতিক ক্ষতি করেছে।

এমতাবস্থায় সরকারি উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি নবযাত্রা কর্মসূচি এ অঞ্চলের মানুষের দুর্যোগ সহনশীলতা বৃদ্ধিতে কাজ করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।  

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ বাংলাদেশ। বিশ্ববাসীর কাছে আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, এ ক্ষতি মোকাবেলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশ্বের প্রত্যেকটি মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, ৭০ এর ঘূর্ণিঝড়ের কথা এখনো এ এলাকার বয়স্ক মানুষরা ভোলেন নি। সেই ঝড়ে প্রায় ১০ লাখ মানুষ মারা যান। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে লক্ষাধিক মানুষ মারা যান।

মায়া আরো বলেন, দারিদ্র্যতার জন্য এখনো এ এলাকার শিশুদের মাঝে বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ার হার বেশি। তাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত জরুরি। এজন্য স্কুল ফিডিং কার্যক্রমকে প্রসারিত করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৬
এমআরএম/ওএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।