ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শরীয়তপুরে অপহরণ মামলায় ১ জনের যাবজ্জীবন, ২ জনের ১৪ বছর জেল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৬
শরীয়তপুরে অপহরণ মামলায় ১ জনের যাবজ্জীবন, ২ জনের ১৪ বছর জেল

শরীয়তপুরে আশা আক্তার (১৪) নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ মামলার প্রধান আসামি আলমগীর হোসেন মোল্যাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।

শরীয়তপুর: শরীয়তপুরে আশা আক্তার (১৪) নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ মামলার প্রধান আসামি আলমগীর হোসেন মোল্যাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।

এসময় তার দুই সহযোগী ইমরান হাওলাদার ও জাকির হোসেন মোড়লকে ১৪ বছর করে কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড‍াদেশ দেওয়া হয়।

বুধবার (৩০ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় ট্রাইব্যুনালের বিচারক রোকসানা পারভীন এ আদেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ভেদরগঞ্জ উপজেলার রামভদ্রপুর গ্রামের সিরাজুল  ইসলাম হাওলাদারের মেয়ে আশা আক্তারকে স্কুলে যাওয়ার পথে উপজেলার ভাটিতা গ্রামের খালেক মোল্যার ছেলে আলমগীর মোল্যা, রামভদ্রপুর গ্রামের কামাল হাওলাদারের ছেলে ইমরান হাওলাদার ও আইয়ুব আলী মোড়লের ছেলে জাকির হোসেন অপহরণ করেন। এর পরদিন স্কুলছাত্রী আশা আক্তারের বাবা সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ভেদরগঞ্জ থানায় তিনজনকে আসামি করে অপহরণ মামলা দায়ের করে।

২০১৪ সালের ৪মে আশাকে উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেওয়ার পর আসামিরা দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন।

পরবর্তীতে, ২০১৬ সালের ১৫ এপ্রিল স্কুলে যাওয়ার পথে ফের আশাকে অপহরণ করে আলমগীর মোল্যা। এ বিষয়ে আশার বাবা ভেদরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেন। এরপর থেকে আলমগীর আশাকে নিয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন।

মামলাটি শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে চলার পর প্রধান আসামি আলমগীর মোল্যার অনুপস্থিতিতে বিকেল ৩টায় ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ রায় দেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফিরোজ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক এবং  আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট রাশেদুল হাসান মাসুম।

মামলার বাদী সিরাজুল ইসলাম হাওলাদার বাংলানিউজকে বলেন, আদালতের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। তবে আমার মেয়েকে এখনও ফেরত পাইনি। আমার বিশ্বাস প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করতে পারলে আমার মেয়ের সন্ধান পাওয়া যাবে। তাই প্রধান আসামিকে ধরার জন্য জোরালো আবেদন করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৬
এনটি/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।